শেরপুরে বিদ্যালয়ের টয়লেট থেকে রিমন হাসান (১৪) নামে এক ছাত্রের বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে নিহত রিমনের বাবা মো. সাগর মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, আজ সকালে নিহতের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার বিষয়ে জোর তদন্ত চলছে। আশা করছি, দ্রুতই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের ভীমগঞ্জ এলাকার ড্যাফোডিল প্রিপারেটরি অ্যান্ড হাইস্কুলের একটি টয়লেট থেকে ওই বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিমনের বিবস্ত্র ও কাদামাখা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ হান্নান মিয়া, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইমসিন ইউনিট, ডিবি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
রিমনের বাবা মো. সাগর মিয়া ও মা মোছা. রশিদা জানান, কিছুদিন ধরে পার্শ্ববর্তী একটি মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল রিমনের। সে ওই মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলত। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা তাঁরা ধারণা করতে পারছেন না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ছেলের হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করেন তাঁরা।