জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে তারতপাড়া থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারকৃতদের জামালপুর জুডিশিয়াল আদালতে পাঠিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পার্শ্ববর্তী মেলান্দহ উপজেলার মাহমুদনগর বানিয়া বাজার গ্রামের আবদুল হোসেন খানের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৪৫) এবং পাঁচ পয়লা গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আবদুল হাকিম মণ্ডল (৪৪)।
থানা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার বিকেলে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে মদ তৈরির অভিযোগ তুলে তারতপাড়া গ্রামের ঋষিপাড়ায় মধু রবিদাসের স্ত্রী বুধিয়া রানীর নিকট ৫ হাজার টাকা দাবি করে প্রতারক হেলাল উদ্দিন এবং আবদুল হাকিম মণ্ডল।
গ্রেপ্তারের ভয়ে একপর্যায়ে ১ হাজার টাকা তাঁদের দিতে বাধ্য হন বুধিয়া রানী। প্রতারক দ্বয় ১ হাজার টাকা নিয়েও আরও ৪ হাজার টাকা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা না দিলে গ্রেপ্তার করবে বলে বুধিয়া রানিকে হুমকি দেয় প্রতারকেরা।
দর কষাকষি একপর্যায়ে এ ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে ডিবি পুলিশ সন্দেহ হওয়ায় এলাকাবাসী প্রতারকদের আটক করে নোয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ মাস্টারের বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় গণপিটুনির ভয়ে প্রতারকেরা নিজেদের সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তবে সাংবাদিকতার পরিচয়পত্র তাঁরা দেখাতে পারেনি।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বিট পুলিশের কর্মকর্তা এসআই আতিকুজ্জামান আতিক জানান, 'গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে প্রতারণার দায়ে ভুক্তভোগী বুধিয়া রানী বাদী হয়ে মামলা করছে। মামলায় জাহিদুল নামে এক আসামি পলাতক রয়েছে। তিনি আরও বলেন, গত ঈদ-উল আজহার সময়েও গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে মানুষকে নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে টাকা-পয়সা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়েছিল।
গ্রেপ্তারকৃত হেলাল উদ্দিন এবং আব্দুল হাকিম মণ্ডল জানিয়েছেন, 'তারা সাংবাদিকতা পেশায় নতুন এসেছেন। ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন তাঁরা।'
ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান জানান, 'গ্রেপ্তারকৃতরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করছিল। প্রতারণার মামলায় তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।'