মদন: নেত্রকোনার মদন উপজেলায় পাঁচ সন্তানের জননীকে (৪৫) ধর্ষণের অভিযোগে মোশারফ হোসেন (৩০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে মদন থানা–পুলিশ। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মোশারফকে গ্রেপ্তার করা হয়। মোশারফ উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে ও সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প বিরাশি গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, মঙ্গলবার পাঁচ সন্তানের জননী পাওনা টাকা আনার জন্য মোশারফ হোসেনের ঘরে যান। এ সময় ঘরে কেউ না থাকায় ওই নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন মোশারফ। লোকলজ্জায় ওই নারী বিষয়টি কাউকে বলেননি। কিন্তু মোশারফ নিজেই স্থানীয় লোকজনের কাছে এ ঘটনা বলাবলি করেন। এ নিয়ে একাধিক সালিস বৈঠক হয়। এতেও কোনো মীমাংসা হয়নি। পরে ওই নারী বাদী হয়ে মোশারফকে আসামি করে শনিবার রাতে মদন থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। পরে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মোশারফকে গ্রেপ্তার করে।
ভুক্তভোগীর স্বামী বলেন, 'মোশারফ মাদকসেবী এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদক কেনাবেচা করে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট করেছে। আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের পর লোকজনের কাছে খারাপ কথা বলাবলি করেছে, আমাকেও নানাভাবে হুমকি দিয়েছে। গতকাল আমার স্ত্রী বিচার চেয়ে মামলা করেছে। আমিও এর সঠিক বিচার চাই।'
গ্রামের সভাপতি মর্তুজ আলী বলেন, ‘মোশারফ মাদকসেবী হওয়ায় ভয়ে কেউ কিছু বলে না। ধর্ষণের কথা শুনে আমরা দরবার করেছি। আমরা এর দ্রুত বিচার চাই।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোশারফ বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমার সঙ্গে তার (ভুক্তভোগীর) পরকীয়া প্রেম। সে স্বেচ্ছায় আমার কাছে আসত।’
জানতে চাইলে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আলম বলেন, ভিকটিমের দায়ের করা ধর্ষণ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মোশারফকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আজ রোববার নেত্রকোনার আদালতে পাঠানো হবে। ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনার আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।