শেরপুরে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে (১৩) অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মো. আবুল হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে অপহরণের দায়ে তাঁকে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। দুটি সাজা একই সঙ্গে চলবে জানানো হয়েছে।
আবুল হোসেন শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগিনীবাগ ভিটাকান্দা এলাকার আব্দুল জব্বারের ছেলে। তবে মামলার শুরু থেকেই আসামি আবুল হোসেন পলাতক রয়েছেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া বুলু বলেন, হতদরিদ্র পরিবারের মেয়ে মাদ্রাসা পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ওই কিশোরীকে ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সহযোগীদের নিয়ে সিএনজিতে উঠিয়ে অপহরণ করেন আবুল হোসেন। এ ঘটনায় ২ অক্টোবর আবুল হোসেন, তাঁর বড়ভাই আনোয়ার হোসেন ও বাবা আব্দুল জব্বারকে আসামি করে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগীর মা। পরে থানা–পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পরে একই বছরের ১৫ ডিসেম্বর অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রধান আসামি আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয় এবং অপর দুই সহযোগী আসামিকে অভিযোগের দায় থেকে অব্যাহতি দেয় ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক পর্যায়ে মামলার বাদী, ভুক্তভোগী ও তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে রোববার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করা হয়।