বাবা-মা কাছ থেকে কৌশলে জমি লেখে নেন ছেলে। এরপর ভরণপোষণ না দিয়ে বৃদ্ধ বাবা-মাকে মারধরেরও অভিযোগ ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। কোনো উপায় না পেয়ে জমি ও ভরণপোষণ ফিরে পেতে ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন অসহায় বৃদ্ধ বাবা-মা।
আজ বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে মেলান্দহ থানার মামলা দায়ের করেছেন বাবা ইয়াদ আলী (৬০)। মামলার পর পুত্রবধূকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মামলার বাদী ইয়াদ আলীর বাড়ী উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের শেখ সাদী এলাকায়। আসামিরা হলেন, তাঁর ছেলে উমর ফারুক (৩৫) ও পুত্রবধূ মোর্শদা বেগম (৩০)। আহত বাবা-মা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, কৌশলে ছেলে ও পুত্রবধূ বাবা ইয়াদ আলীর বাড়ি ভিটাসহ জমিজমা ফারুকের নামে লিখে নেন। জমি লেখা নেওয়ার পর থেকেই শুরু হয় ইয়াদ আলী ও তাঁর স্ত্রীর উপর নির্যাতন শুরু করেন অভিযুক্তরা। ভরণপোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন এবং তাদেরকে মারধরও করেন।
গতকাল মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ছেলে ফারুক ও পুত্রবধূ মোর্শেদা ইয়াদ আলী ও মা মনোয়ারা বেগমকে মারধর করেন। পরে তাঁর দুজন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।
জানতে চাইলে বাবা ইয়াদ আলী বলেন, ‘আমার ছেলে ও ছেলের বউ কৌশলে আমার কাছে থেকে জমিজমা সব লিখে নিয়েছে। এখন আমাকে ভাত কাপড় দেয় না। ভিটে ছাড়া করার জন্য অত্যাচার করে। আমাকে ও আমার বউকে মারধর করেছে। আমি আমার বাড়ির ভিটাতে থাকতে চাই।’
এ বিষয়ে ছেলে উমর ফারুকের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর বাড়িতে গেলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘বৃদ্ধ মা-বাবাকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন এক বাবা। মামলা দায়েরের পরেই পুত্রবধূ মোর্শেদা বেগমকে গ্রেপ্তার হয়েছে। ছেলে উমর ফারুক পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। মোর্শেদা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’