প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, আগামী ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। ইতিমধ্যে সব বই মন্ত্রণালয়ের হাতে এসেছে। আজ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ইনস্ট্রাক্টর ও নেপের সহকারী বিশেষজ্ঞদের বনিয়াদি প্রশিক্ষণ কোর্সের সনদ বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
বিধান রঞ্জন রায় বলেন, শিক্ষক হওয়ার আগেই পেশাগত কোর্স চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) কোর্সের মাধ্যমে যাঁরা শিক্ষকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নিতে চান, তাঁরা আগে থেকে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জনের সুযোগ পাবেন। এতে কমিটেড শিক্ষক তৈরি হবে এবং প্রাথমিক শিক্ষায় সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক ফল আসবে।
উপদেষ্টা আরও বলেন, অনেক দেশে প্রাথমিক শিক্ষক হতে হলে আগাম যোগ্যতা, বিশেষ প্রশিক্ষণ—এমনকি লাইসেন্স বাধ্যতামূলক। চিকিৎসকদের মতো শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও লাইসেন্স ব্যবস্থার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের, তবে তা দূরবর্তী সময়ে বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রাথমিক শিক্ষকদের আন্দোলন ও ১১তম গ্রেড প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বিষয়টি বেতন কমিশনের আওতাধীন। সরকারের অবস্থান কমিশনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশা করা যায়, এটি বাস্তবায়ন হবে। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালে আন্দোলন যুক্তিযুক্ত ছিল না। তবে শিক্ষকদের দাবিকে অযৌক্তিক বলা হয়নি। আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের মন খারাপ হলেও পুনরায় পরীক্ষা নেওয়ায় তা পুষিয়ে যাবে।
নেপ সূত্র জানায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে এবং নেপের পরিচালনায় ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন (ডিপিএড) প্রোগ্রাম চালু হবে। পাইলটিং ভিত্তিতে দেশের ১২টি প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) এ কার্যক্রম শুরু হবে। পিটিআইগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুমিল্লা, জয়দেবপুর, দিনাজপুর ও বগুড়া। ১০ মাস মেয়াদি এ কোর্সটি অনাবাসিক ও বৈকালিক হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নেপের মহাপরিচালক ফরিদ আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ফারাহ শাম্মী।