হোম > অপরাধ > ময়মনসিংহ

১০ লাখ টাকার লোভে দুই বন্ধুকে নিয়ে দাদিকে খুন করে কিশোর: পুলিশ 

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

নেত্রকোনায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় জোছনা বেগমের (৭০) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তাঁর নাতিসহ তিন কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার তিন বন্ধুর জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে, আলমারিতে থাকা ১০ লাখ টাকা নিতেই এ খুন করে তারা।

আজ মঙ্গলবার ভোরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) লুৎফুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গতকাল সোমবার রাত সোয়া ১১টার দিকে শহরের নিউটাউন বিলপাড় এলাকার নিজ ঘর থেকে জোছনা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জোছনা বেগমের ছোট ছেলে নাজমুল হাসান রুজেন বাদী হয়ে গতকাল সোমবার রাতেই অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন। পরে এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্রেপ্তার তিনজন হলো জোছনা বেগমের বড় ছেলে ফারুখ হোসেন মিল্টনের ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তার দুই বন্ধু। তাদের বাড়ি পূর্ব চকপাড়ায় ও সদর উপজেলার উলুয়াটি গ্রামে। তাদের তিনজনের বয়স ১৫।

তিনজনের বরাত দিয়ে জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফুর রহমান জানান, মিল্টনের ছেলে এবার নবম শ্রেণিতে পরীক্ষা না দেওয়ায় বাসা থেকে তাকে বের করে দেন বাবা ও মা। এরপর থেকে ওই কিশোর তার বন্ধুদের সঙ্গে থাকত।

সম্প্রতি মিল্টনের এক ভাই একটি গাড়ি বিক্রি করেছিলেন। ওই গাড়ি বিক্রির ১০ লাখ টাকা আলমারিতে রাখা ছিল। বিষয়টি ওই কিশোর জানত। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে ওই টাকা চুরির পরিকল্পনা করে। এর মধ্যে ওই কিশোরের মা ও বোন আটপাড়ায় বেড়াতে যাওয়ায় বাসায় একা ছিলেন জোছনা বেগম। এ সুযোগে তারা টাকা নেওয়ার জন্য জোছনা বেগমকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী স্থানীয় এক হাসপাতাল থেকে চেতনানাশক ইনজেকশন সংগ্রহ করে গত ৭ জানুয়ারি রাত ৯টার দিকে ওই বাসায় যায়। পরে তিন বন্ধু মিলে জোছনা বেগমের হাত, পা ও মুখ বেঁধে শরীরে ইনজেকশন পুশ করে অচেতন করে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর তারা আলমারি খুলে দেখে যে ড্রয়ারে ১০ লাখ টাকা আছে তা লক করা। তা খুলতে ব্যর্থ হয়ে সামনে থাকা দুই হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় গিয়ে ইনজেকশন, সুচ ও হাতের গ্লাভস একটি পুকুরে ফেলে দেয়।

এদিকে আজ মঙ্গলবার ভোরে ওই কিশোর আটপাড়া থেকে তার মা ও বোনের সঙ্গে শহরের বাসায় আসার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার বিস্তারিত জানালে অপর দুই বন্ধুকে তাদের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্য মতে পুকুর থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ইনজেকশন, সুচ ও হাতের গ্লাভস জব্দ করে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানান, আজ বিকেলে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে নিহত জোছনা বেগমের স্বজনেরা জানায়, ওই কিশোর মাদকাসক্ত ছিল। নেশার টাকার জন্য প্রায় সময় দাদিকে বিরক্ত করত সে।

ময়মনসিংহে মাজার ভাঙচুর ও মলমূত্র নিক্ষেপের ঘটনায় মামলা

বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে রেলপথ অবরোধ-আগুন, ট্রেন চলাচল বন্ধ

নেত্রকোনায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, নারীসহ আহত ২২

কুয়াশায় যমুনায় আটকা বর-কনেসহ ৪৭ যাত্রীর নৌকা, ১৫ ঘণ্টা পর উদ্ধার

ময়মনসিংহে মাজার ভাঙচুর করে মলমূত্র ছিটিয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল সীমান্তে ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: আরও ৬ আসামি গ্রেপ্তার

বড়দিনের প্রার্থনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা

বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি সারোয়ারের জামিন নামঞ্জুর

দুর্গাপুরে বড়দিন উপলক্ষে ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত