দুর্ঘটনার সময় আন্তনগর অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনের গতিসীমা ২০ কিলোমিটারে ছিল। তাই বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন চালক আব্দুল হালিম।
তিনি বলেন, ‘আউটার সিগন্যালে ঝুঁকি থাকায় ট্রেনটি সেখানেই থামানোর কথা ছিল। থামানোর ১০০ গজ আগেই সেই দুর্ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে পড়ে যায় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ দুটি বগি। পরে নেমে দেখি ২০ মিটার রেললাইনের পাত অন্যত্র সরিয়ে রাখা হয়েছে।’
আজ সোমবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে ময়মনসিংহের গফরগাঁও স্টেশনে ঢোকার আগে দুর্বৃত্তরা ২০ ফুট রেললাইনের পাত সরিয়ে ফেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তারাকান্দি থেকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন হয়ে ঢাকাগামী অগ্নিবীণা আন্তনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে সহস্রাধিক যাত্রী ছিলেন।
ট্রেনটির সহকারী চালক হাসিম উদ্দিন বলেন, ‘কুয়াশার কারণে ট্রেনের গতি ছিল ৫০ কিলোমিটার। স্টেশনের আগে আউটার সিগনাল ঝুঁকি থাকায় সেখানে ট্রেনটি থামানোর কথা ছিল। যার কারণে গতিসীমা ২০ কিলোমিটারে নিয়ে আসা হয়। ২০ কিলোমিটার গতি থাকা অবস্থায় দুর্ঘটনা হওয়ায় তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’
স্থানীয় আশরাফুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার সময় বিকট শব্দ হয়। তখন বাসা থেকে উঠে দেখি যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নামছে। এমন কাজ করা মানুষের দ্বারা সম্ভব নয়। আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। যারা রেলের পাত কেটেছে তারা দেশের শত্রু। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
রফিকুল ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘বিএনপির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা চলছে। সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে আওয়ামী দোসরা এমন কাজ করে থাকতে পারে। বিএনপির পক্ষে এ কাজ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’
ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী সিরাজউদ্দৌলা বলেন, ‘ঢাকা থেকে রিলিফ ট্রেন এসেছে। উদ্ধার কাজ চলমান রয়েছে। দুর্বৃত্তরা রেলের পাতা খুলে নেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুপুর দুইটার মধ্যে উদ্ধার কাজ সম্পন্ন হবে।’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান আক্তারুজ্জামান বাচ্চু। বিষয়টি জানাজানি হলে মনোনয়ন না পাওয়া নেতাদের কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করেন। এরপর থেকে রেললাইন অবরোধ ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।