ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার চেচুয়া কুড়িপাড়া এলাকায় জহর রবি দাস (৩২) নামে এক ব্যক্তি তাঁর চাচিকে হত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। এ কথা তিনি নিজেই থানায় গিয়ে জানিয়েছেন এবং শাস্তির দাবি করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তাঁকে আটক করে রেখেছে।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে ধরা দেন উপজেলার চেচুয়া কুড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা এ বাসিন্দা। এর আগে এদিন সন্ধ্যায় তিনি তাঁর চাচি জ্বলন্ত রবি দাসকে (৪৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
অভিযুক্ত জহর রবি দাস মঙ্গলবার সন্ধ্যায় থানায় গিয়ে বলেন, ‘আমি আমার চাচিরে মারছি, জেল–ফাঁসি যা দেওয়ার দেন।’
পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা বলছে, চেচুয়া কুড়িপাড়া গ্রামের ঋষিপাড়ার ক্ষুদিরাম রবি দাস ও কালুয়া রবী দাস দুই ভাই একই বাড়িতে থাকেন। গত কয়েক দিন আগে কালুয়া রবি দাসের স্ত্রী জ্বলন্ত রবি দাসের সঙ্গে ক্ষুদিরাম রবিদাসের স্ত্রীর পারিবারিক বিষয় নিয়ে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে চুলোচুলির ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা সালিস দরবারের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এ সময় ক্ষুদিরাম রবি দাসের ছেলে জহর রবি দাস ঢাকায় ছিলেন। খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জহর রবি দাস ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরেই ধারালো চাকু নিয়ে চাচি জ্বলন্ত রবি দাসকে আক্রমণ করে। মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার প্রতিশোধ নিতে আপন চাচিকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা জ্বলন্ত রবি দাসকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে সন্ধ্যার পর জহর রবি দাস নিজেই থানায় গিয়ে হত্যার কথা পুলিশকে হত্যার কথা জানায়।
মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাহমুদুল হাসান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হত্যা করে আসামি নিজেই থানায় এসে ঘটনার বর্ণনা দেয়। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। জহর রবী দাসকে আটক করে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’