শেরপুরে নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের দায়ে মফিজুল ইসলাম নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ আরও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার উভয় সাজা একই সঙ্গে চলবে।
আজ বুধবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির অনুপস্থিতিতে এ সাজার রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত মফিজুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালি থানাধীন বৈঠামারি গ্রামের চানু মন্ডলের ছেলে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার নথির উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৪ জুলাই দুপুরে শেরপুর সদর উপজেলার সাপমারি দাখিল মাদ্রাসার ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে মফিজুল তার দুই সহযোগীকে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। পরে সেখানে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ২৭ দিন পর ভুক্তভোগীকে উদ্ধার ও অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করলে ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর আদালতে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে জামিন নিয়ে অভিযুক্ত মফিজুল পালিয়ে যান। বিচারিক পর্যায়ে পাঁচজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ধর্ষণের অভিযোগে মফিজুলের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস এবং অপহরণের অভিযোগে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত।