শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় ১১ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে তিন–চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এমাজ উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
আজ সোমবার ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
অভিযুক্ত এমাজ উদ্দিন একই এলাকার সুরুজ মণ্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ১২টার দিকে ওই শিশু আলমগীর মিয়ার বাড়িতে সেলাই করতে দেওয়া নতুন জামা আনার জন্য যায়। এ সময় এমাজ উদ্দিনের বাড়ির সামনে আসার পর ওই শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বাড়ির ভেতরে যান এমাজ। পরে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য নানা হুমকি দেখিয়ে তাকে বের করে দেন। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য নানা পাঁয়তারা করলেও ঘটনার দুই দিন পর রোববার রাতে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে এমাজ উদ্দিনসহ তাঁর চার ভাইয়ের নামে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকেই সবাই পলাতক রয়েছেন।
ভিকটিমের বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন এমাজ উদ্দিন। ধর্ষণের পরে আমার মেয়ে আমার স্ত্রীকে সব বলেছে। পরে আমি এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জায়গা কথা বলতে গেলে আমাকে ও আমার পরিবারকে এমাজ উদ্দিন বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। এই ঘটনা নিয়ে দুই দিন সালিসের চেষ্টাও করা হয়েছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে সঠিক বিচারের আশায় মামলা করেছি। আমার মেয়ের সঙ্গে যে অন্যায়টা করল তারা, এখন আপনারা তার বিচার করেন।’
শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আসামিদের ধরতে পুলিশের কয়েকটি টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আশা করছি, শিগগিরই আসামিদের গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।’