মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতির দ্বন্দ্বের জেরে পচে গেল দরিদ্রদের সহায়তার ১০ টাকা কেজি দরের চাল। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান উপজেলার রাধানগর বাজারের একটি বন্ধ দোকান থেকে ছয় বস্তা পচা চাল উদ্ধার করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার কাদিরপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি সাইফুল মণ্ডল ওই ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ডিলার। তিনি রাধানগর বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি পরেশ চন্দ্র রাউতের ঘর ভাড়া নিয়ে ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রয় করছিলেন। কিন্তু ঘর ভাড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে গত বছরের নভেম্বর মাসের শেষ দিকে পরেশ রাউত ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেন। তখন ঘরে প্রতিটি ৫০ কেজি ওজনের ছয় বস্তা চাল পড়ে ছিল। নয় মাস সেভাবেই থাকে। এতে চালগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে। বঞ্চিত হয়েছেন অতি দরিদ্র মানুষেরা। স্থানীয় অনেকেই এই ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলার যুবলীগ নেতা সাইফুল মণ্ডল বলেন, রাজনৈতিক ভাবে আমাকে বিপদে ফেলার জন্য ঘরে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধ ঘরে থাকা সমপরিমাণ চাল বাজার থেকে কিনে করে বিতরণ করেছি। কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শ্রীপুর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন করে পচে যাওয়া ছয় বস্তা চাল পাওয়া গেছে। তালিকাভুক্ত দরিদ্র মানুষ চাল ক্রয় থেকে বঞ্চিত হয়েছেন কি-না সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর বরাদ্দ করা চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে ডিলারের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন খাদ্য কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, করোনার কালে সহায়তা হিসেবে সরকার খোলাবাজারে বিক্রি কর্মসূচির (ওএমএস) চালের দাম কমিয়ে ১০ টাকা করে। এই চাল তালিকা করে হতদরিদ্রদের মধ্যে বিতরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।