মাগুরার মহম্মদপুরে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে মামলার বাদীকে হত্যার হুমকিসহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার পর থেকেই বাড়িছাড়া হয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। আশ্রয় নিয়েছে গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে। এদিকে মামলার ১০ দিন পার হলেও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পরিবারের সদস্য ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই কালুখান্দী গ্রামের ইমারত মোল্লার ছেলে গোলাম রব্বানী (৪২) ও তাঁর দুই সহযোগী মিলে গভীর রাতে ইটভাটায় নিয়ে ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ২৫ জুলাই মঙ্গলবার মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে মামলা তুলে নিতে আসামিদের স্বজনেরা বাদীকে বিভিন্ন ধরনের চাপ দিচ্ছেন। মামলা তুলে না নিলে সবাইকে গুম করে ফেলার হুমকিও দিচ্ছেন।
এদিকে মামলার আসামিরা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিনই গ্রামে ঘোরাফেরা করছেন বলে জানা গেছে।
গত ৩১ জুলাই মামলার বাদী তাঁর পরিবার নিয়ে কাজে রাস্তায় বের হলে আসামিপক্ষের লোকজন তাঁদের ওপর আক্রমণ করে। পরে তারা ৯৯৯-এ কল করলে দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আসামিপক্ষের লোকজন মামলা তুলে নিতে আমাকে হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমাদের সবাইকে মেরে গুম করে ফেলবে বলে প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছে। বর্তমানে আমরা বাড়িতে যেতে পারি না। উপায় না পেয়ে ওই এলাকার এক ব্যক্তির ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। আমি পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।’
মহম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ মামলার বাদীকে হত্যার হুমকির বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা ও অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া ধর্ষণ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই আজকের পত্রিকায় প্রিন্ট সংস্করণে ‘মাগুরায় স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।