ঝিনাইদহে যৌনতায় অসম্মতি জানানোয় পাঁচ দিনের ব্যবধানে তিনজনকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন ইয়াদ মোল্লা (৪৫)। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। এ সময় হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেন ইয়াদ। তিনি নড়াইল জেলার বিলডুমুরতলা গ্রামের বাসিন্দা।
ইয়াদের বরাতে পুলিশ জানায়, কিছুদিন ধরে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন ইয়াদ। রাতেও এসব এলাকার স্কুল ও নির্জন স্থান বেছে নিতেন ঘুমানোর জন্য। প্রায় ১৫ দিন ধরে সদর উপজেলার লাউদিয়া এলাকায় রাত্রিযাপন করছিলেন ইয়াদ। সাম্প্রতিক সময়ে লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রাত্রিযাপন শুরু করেন সালাউদ্দিন নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি। এ সময় সালাউদ্দিনকে সমকামিতার প্রস্তাব দেন ইয়াদ মোল্লা। তবে অনেক চেষ্টা করেও তাঁকে রাজি করাতে পারেননি। এক রাতে ঘুমাতে গিয়ে দেখেন তাঁর কম্বল জড়িয়ে ঘুমিয়ে আছেন সালাউদ্দিন। তখন পার্শ্ববর্তী মাঠ থেকে মেহগনির ডাল এনে ঘুমন্ত সালাউদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ স্কুলের সিঁড়ির নিচে রেখে তেঁতুলতলা এলাকায় থাকা শুরু করেন।
এ ঘটনার পরপরই ইয়াদকে র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের টহল দল আটক করে। ওই দিন রাতেই ইয়াদ মোল্লার বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করে সদর থানায় সোপর্দ করে র্যাব।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার বলেন, এসব ঘটনায় হত্যা ও ধর্ষণ মামলার পর ইয়াদ মোল্লাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি তিনজনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। এরপর আজ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাঁকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাওয়া হয়। পরে তাঁর দেওয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনায় ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি লাউদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খুন হওয়া সালাউদ্দিন সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ থানার রহিমপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে। ৯ ফেব্রুয়ারি তেঁতুলতলা এমকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে খুন হওয়া ইলিয়াস পাটোয়ারী চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার নুরপুর গ্রামের সিদ্দিক পাটোয়ারীর ছেলে। সর্বশেষ ১০ ফেব্রুয়ারি পোড়াহাটি গ্রামে হত্যার স্বীকার নারী ওই গ্রামেরই বাসিন্দা।