বর্ষা মৌসুম এলেই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় গড়াই ও পদ্মা নদীতে দেখা মেলে নৌকাভ্রমণের দৃশ্য। এ সময় প্রতিদিনই ছোট-বড় অসংখ্য ভ্রমণ নৌকা চলে নদীতে। কিন্তু নৌকা ভ্রমণের নামে নদীতে বাজানো হয় অতিরিক্ত শব্দে ডিজে সাউন্ড বক্স।
হিন্দি ও ডিজে গানের তালে তালে চলে অশ্লীল নৃত্য, অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদক সেবন। এতে নারী, পুরুষ, হিজড়া, শিশুসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের কোনো অভিযান বা তৎপরতা দেখা যায়নি।
ফলে নৌকাভ্রমণের নামে অপসংস্কৃতির চর্চা, শব্দদূষণ, মাদকের উপদ্রব বৃদ্ধি, ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার, ভয়াবহ নৌ দুর্ঘটনাসহ নানান অভিযোগ রয়েছে নদীপারের বাসিন্দা ও স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুমারখালীর শিলাইদহ পদ্মা নদীর নৌকাঘাট, গড়াই নদীর যদুবযরা নৌকাঘাট, ইকোপার্ক, খোকসা উপজেলার নৌকাঘাটসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৩০ মিনিট পরপর চলছে ছোট-বড় ভ্রমণ নৌকা।
নৌকাগুলো বিভিন্ন ভঙ্গিতে সাজানো। প্রতিটি নৌকায় ৫০ থেকে ৭০ জন ভ্রমণপিপাসী। হিন্দি ও ডিজে গানের তালেতালে চলছে নারী, পুরুষ ও হিজড়াদের অশ্লীল নৃত্য। পরনে তাদের দৃষ্টিকটু পোশাক।
বাসিন্দারা আরও বলেন, দিনে নৃত্যের মাধ্যমে ‘আনন্দ’ দিলেও রাতে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয় অনেকেই। যেকোনো সময় ধর্ষণ, যৌননিপীড়ন , নৌকাডুবি, হানাহানিসহ নানান অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এস এম রফিক বলেন, নৌকাভ্রমণ আনন্দদায়ক। কিন্তু কিছু উঠতি বয়সী ছেলেমেয়ে ভ্রমণটাকে নষ্ট করছে। ভ্রমণের নামে তাঁরা অশ্লীল নৃত্য ও অসামাজিক কার্যকলাপ চালায়। এ বিষয়ে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো উচিত।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নৌপথে অভিযানের জন্য নৌপুলিশ রয়েছে। তবুও বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।