সেভিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান ১-এ নামিয়ে এনেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এক দিন যেতেই লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে ব্যবধান ফের চারে নিয়ে গেছে কাতালানরা। টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করলেও হাওয়ায় গা ভাসানোর পক্ষে নন বার্সার প্রধান কোচ হান্সি ফ্লিক। নতুন বছরেও দলের কাছ থেকে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স চান তিনি।
রিয়ালের সঙ্গে পয়েন্টের ব্যবধান বাড়ানোর পথে ভিয়ারিয়ালের মাঠ এস্তাদিও লা কেরামিকা থেকে ২-০ গোলের জয় নিয়ে ফিরেছে বার্সা। ১২ মিনিটে রাফিনহার স্পট কিক থেকে এগিয়ে যাওয়ার পর ৬৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ান লামিনে ইয়ামাল। ১৮ ম্যাচ শেষে বার্সার সংগ্রহ ৪৬ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছে রিয়াল। ৩৭ পয়েন্ট পাওয়া আতলেতিকো মাদ্রিদ আছে তিনে।
লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকলেও চিন্তার শেষ নেই বার্সার। চলতি মৌসুমে ইনজুরি বেশ ভোগাচ্ছে তাদের। সবশেষ এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আন্দ্রেয়াস ক্রিস্টেনসেনের নাম। আগে থেকেই মাঠের বাইরে আছেন গাভি, দানি, পেদ্রি, আরাহোরা। নতুন বছরে সবাইকে সুস্থ দেখতে চান ফ্লিক। আপাতত ফুটবলকে দূরে রেখে শিষ্যদের বড়দিন উপভোগ করার পরামর্শ দিলেন তিনি।
ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে ফ্লিক বলেন, ‘এই বছরটাতে আমরা বেশকিছু সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পেরেছি। দল কীভাবে অনুশীলন করে সেটাতে আমরা নজর দিতে পেরেছি। সবাই নিজেদের জায়গা থেকে সেরাটা দিচ্ছে। অনুশীলনে সেটার প্রমাণ পাচ্ছি। ছেলেদের এখন বিশ্রাম নেওয়া দরকার। সামনে বড়দিন। পরিবারের সঙ্গে নিজেদের মতো করে উদযাপন করা উচিত। যারা মাঠের বাইরে আছে তাদের কথাও ভাবছি। সবাইকে বড়দিনের শুভেচ্ছা।’
রাফিনহা-ইয়ামালরা গোল এনে দিলেও দলের জয়ে হুয়ান গার্সিয়ার অবদানও কোনো অংশে কম নয়। এদিন গোলপোস্টের নিচে রীতিমতো চীনের প্রাচীর হয়ে ছিলেন তিনি। দারুণ সব সেভে বেশ কয়েকবার সফরকারীদের বাঁচিয়েছেন এই গোলরক্ষক। তাই তাঁর প্রশংসা না করে থাকতে পারলেন না ফ্লিক।
তিনি বলেন, ‘গার্সিয়া আমাদের গোল হজম করা থেকে রক্ষা করেছে। পোস্টের নিচে দুর্দান্ত ছিল। সে আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। তবে ভুলে গেলে চলবে না আমরা দল হিসেবে খেলি। সবাই মিলে রক্ষণ সামাল দেই। ম্যাচ জেতায় আমার খুব ভালো লেগেছে। এখন দলের সবাই ক্লান্ত। তবে সেটা মানসিকতায় প্রভাব পড়েনি।’