কখন যে মৃত্যু কার দরজায় কড়া নাড়বে, সেটা স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই ভালো জানেন। ভ্যালেন্সিয়া কোচ ফার্নান্দো মার্টিন হয়তো ঘুণাক্ষরেও তাঁর মৃত্যুর কথা ভাবেননি। নৌকাডুবিতে তিনি ও তাঁর সন্তান চলে গেছেন না ফেরার দেশে।
ইন্দোনেশিয়ায় নৌকাডুবিতে ভ্যালেন্সিয়া ‘বি’ নারী দলের কোচ মার্টিন ও তাঁর তিন সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে ক্লাবটি গতকাল এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে। পরিবার নিয়ে মার্টিন ইন্দোনেশিয়ার উপকূলে একটি পর্যটক নৌকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। বাজে আবহাওয়ায় লাবুয়ান বাজোর কাছে পাদার দ্বীপ প্রণালিতে তাঁকে বহনকারী নৌকাটি শুক্রবার রাতে ডুবে গিয়েছিল। ১০ ফুট উচ্চতার ঢেউয়ের আঘাতেই মূলত তাঁর নৌকাটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল।
মার্টিন ও তাঁর তিন সন্তানের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে ভ্যালেন্সিয়া। সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় স্প্যানিশ ক্লাবটি লিখেছে, ‘ইন্দোনেশিয়ায় মর্মান্তিক নৌ দুর্ঘটনায় ভ্যালেন্সিয়া নারী ‘বি’ দলের কোচ ফার্নান্দো মার্টিন ও তাঁর তিন সন্তানের মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। এই দুঃসময়ে ক্লাবটি তাঁর পরিবার, বন্ধু ও সহকর্মীদের পাশে রয়েছি।’ এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রতি শোকবার্তা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদও। নিজেদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডলে রিয়াল লিখেছে, ‘ইন্দোনেশিয়ায় মর্মান্তিক নৌ দুর্ঘটনায় ভ্যালেন্সিয়া নারী ‘বি’ দলের কোচ ফার্নান্দো মার্টিন ও তাঁর তিন সন্তানের মৃত্যুতে ফুটবল ক্লাব, ক্লাবের সভাপতি ও পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে শোকবার্তা জানিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এমন দুঃসময়ে তাঁর স্ত্রী আন্দ্রেয়া ও মেয়ের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি আমরা।’
শুক্রবার রাতে ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় পর্যটন গন্তব্য লাবুয়ান বাজোর কাছে পাদার দ্বীপ প্রণালিতে যাচ্ছিল নৌকাটি। সে সময় নৌকায় ১১ আরোহী ছিলেন বলে জানা গেছে। নৌ দুর্ঘটনার পর মার্টিন এবং তাঁর ৯, ১০ ও ১২ বছর বয়সী তিন নিখোঁজ সন্তানকে উদ্ধারের পর তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়। তবে মার্টিনের স্ত্রী ও সাত বছর বয়সী মেয়েকে জীবিত উদ্ধার করতে পেরেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার অভিযানের দায়িত্বে থাকা ফাতুর রহমান বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আজ সকাল পর্যন্ত চলেছে এই উদ্ধার কার্যক্রম।