টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রত্যাহার হওয়ার পর থানায় লাগানো এসি, টেলিভিশন, আইপিএস ও সোফা তিনি খুলে নিয়েছেন। পরে আসবাবপত্রগুলো থানা থেকে তার বাসার সামনে রাখা হয়। এভাবে থানার জিনিসগুলো খুলে নেওয়ার ঘটনায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার চলছে।
ভূঞাপুর উপজেলার নিকরাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভপতি জুরান মন্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, থানার সৌন্দর্য বর্ধন ও থানায় যেই ওসি আসুক তারা যেন সুবিধাটা ভোগ করতে পারেন সে জন্য বালু মহালের টাকা দিয়ে জিনিসপত্রগুলো দেওয়া হয়েছে। থানার স্বার্থে এগুলো দেওয়া হয়েছে, কারও ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়। শুনেছি তিনি সেগুলো খুলে নিয়ে যাচ্ছেন, এটা ঠিক না। তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেওয়া হয়নি। তার চেয়ারটাকে সম্মান করে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে থানার পুলিশ সদস্য উদয় ও বহিরাগত আরিফ এবং ভ্যান চালকের সহায়তায় থানার জিনিসপত্রগুলো খোলা হয়। এরপর সেগুলো থানা হতে ভ্যানযোগে ওসির সরকারি বাসায় নেওয়া হয়।
জানা গেছে, গত ২৪ আগস্ট পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার স্বাক্ষরিত আদেশে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। তার এই বদলির আদেশের পরেরদিন শুক্রবার রাতে থানার এসি, টেলিভিশন, সোফা ও আইপিএস খুলে নেওয়া হয়।
থানার পুলিশ সদস্য উদয় বলেন, ‘ওসি স্যারের নির্দেশে জিনিসপত্রগুলো খুলে নেওয়া হয়েছে। এরপর সেগুলো ভ্যানযোগে ওসির কোয়াটারে রাখা হয়েছে।’
ভূঞাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. লুৎফর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওসির টাকায় কেনা জিনিসপত্র হলে তো সে নিতেই পারে। এই বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’
বদলি হওয়া ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘যেগুলো থানা হতে খোলা হয়েছে সেগুলো ব্যক্তিগত টাকা দিয়ে কেনা। সুতরাং সেগুলো আমি নিতেই পারি।’
জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারও অনুদানের টাকায় কিনে থাকলে সেগুলো ওসি নিতে পারেন না। যদি ব্যক্তিগত টাকায় কেনা হয় তাহলে নিতে পারবেন। যদিও এই বিষয়ে কিছুই জানি না।’