গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় আলোচিত ফরিদ শেখ (৪০) হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন তাঁর স্ত্রী মুক্তা বেগম (৩৫)। আজ বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটিটি জব্দ করা হয়েছে।
মৃত ফরিদ শেখ উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের ধোড়ার গ্রামের ইয়ার আলী শেখের ছেলে।
এ বিষয়ে ফরিদ শেখের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে ফরিদ ঢাকায় বাবুর্চির কাজ করত। করোনার সময় স্থায়ীভাবে বাড়িতে এসে বসবাস শুরু করে। বাড়িতে আসার পর থেকেই আমার ছেলের সঙ্গে পুত্রবধূর প্রায়ই ঝগড়া হতো। মুক্তা বিভিন্ন সময়ে আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিত। এ ঘটনায় আমার ছেলে কোটালীপাড়া থানায় একটি জিডিও করেছিল। এখন আমার ছেলের খুনি শনাক্ত হয়েছে। আমরা তার কঠিন শাস্তি চাই।’
উপপরিদর্শক বলেন, গত ১৯ জুন দিবাগত রাতে ফরিদ শেখকে তাঁর স্ত্রী বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরদিন ২০ জুন ফরিদ শেখের মা ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে মুক্তা বেগম ও তাঁর বাবা সিদ্দিক তালুকদারকে (৬০) আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
উপপরিদর্শক আরও বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে মুক্তা বেগম তাঁর স্বামী ফরিদ শেখকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছেন কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।