চুরি ঠেকাতে পালাক্রমে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে মাদারীপুরের কালকিনি পৌরসভার বেশ কয়েকটি এলাকায়। কিছুদিন ধরে এই এলাকায় চোরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। তাই মানুষকে নিরাপদে রাখতে লাঠিসোঁটা হাতে নিয়ে গ্রাম পাহারা দিচ্ছে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী জানায়, সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে কালকিনি পৌর এলাকার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইউনুস আলী হাওলাদারের কলেজের সামনে এক বাসার তালা ভেঙে দিন-দুপুরে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় চোরেরা। এ মাসেই আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনির ব্যাপারীর বাড়ি থেকে দুইটি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, একটি আংটি, চেইন ও কিছু নগদ টাকা নিয়ে যায় চোরেরা।
একই এলাকার হবিদ ভূঁইয়ার একটি গরু, কাশিমপুর গ্রামের লাল মিয়া ব্যাপারীর একটি গরু, কাষ্টগড় থেকে উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মীরজাহান আমিনের তিনটি ছাগল, পখিরা গ্রাম থেকে একটি ভ্যান ও কানাইপুর গ্রামের কামরুল হোসেনের ঘরের জানালা ভেঙে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা।
এলাকাবাসীরা বলেছেন, রাত হলে আমাদের এলাকার গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায় চোরেরা। তাই আমরা এলাকার চুরি ঠেকাতে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছি। সব সময় আমাদের চোর আতঙ্কে থাকতে হয়। প্রায় প্রতিটি বাড়ি গিয়ে ডাক-চিৎকার দিয়ে মানুষকে সচেতন করছি। যেন কোন চোর আসতে না পারে।’
৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারিকুজ্জামান সুরুজ বলেন, ‘এভাবে একের পর এক পৌর এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে চুরির হিড়িক পড়ায় আমরা শঙ্কিত। আগে শুধু রাতে চুরি হলেও এখন দিনেও চুরি শুরু হয়েছে। এসব চুরির ঘটনা রোধে পুলিশের ভূমিকা না থাকার কারণে এলাকাবাসীরাই রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছি। গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা পাহারার ব্যবস্থা করেছি। চুরি না কমা পর্যন্ত কার্যক্রম চলবে।’
ব্যক্তিগতভাবে এলাকাবাসীকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, ‘রাত জেগে এলাকা পাহারা দেওয়া জনস্বার্থের কাজ। তিনি বলেন, সচেতন মহল সোচ্চার থাকলে পুলিশের সুবিধা হয়।'