ঢাকার ধামরাইয়ে ফাতেমা আক্তার মুক্তি (২০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহতের নেশাগ্রস্ত স্বামী মো. তামিমকে (২৬) আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃত তামিম ব্যক্তি উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের হাতকোড়া এলাকার বারেক মিয়ার ছেলে। অন্যদিকে নিহত ফাতেমা সিলেটের বাসিন্দা। তবে তারা দীর্ঘদিন ধরে ধামরাইয়ের বারোবাড়িয়া এলাকার গুচ্ছ গ্রামে বসবাস করে আসছিলেন। তাঁর বাবার পরিচয় পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, তামিম মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং নিজেও মাদক সেবন করতেন। তাঁর নামে মাদকের মামলাও রয়েছে।
সেলিম রেজা নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আজ ১২টার দিকে তামিম তাঁর স্ত্রী ফাতেমাকে তাঁর বাবার বাড়ি বারোবাড়িয়া থেকে তামিমের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে দুপুর দুইটার দিকে তাঁদের ঘরের ভেতর থেকে চিৎকারের শব্দ শুনতে পান তাঁর চাচা আব্দুল মালেক। পরে তিনি শব্দ শুনে দরজার কাছে গিয়ে তামিমকে দরজা খুলতে বললে তামিম দরজা খোলে না। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে গিয়ে দেখে ফাতেমাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে আটক করে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রেখে পুলিশকে খবর দেয়।
ধামরাই থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নির্মল কুমার দাশ জানান, তামিম নেশাগ্রস্ত ছিলেন। স্ত্রীর সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়িয়ে তাঁকে হত্যা করে থাকতে পারেন। তবে তদন্তের পর আসল ঘটনা বলা যাবে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তামিমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।