রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান।
ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে এই আবেদন শুনানি হবে। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কার্যালয় থেকে বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে, গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ডিবি সদস্যরা আনিস আলমগীরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যান। রাজধানীর ধানমন্ডির একটি জিম থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন আনিস আলমগীর।
আটকের পর গতকাল রাতে আনিস আলমগীর, অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নষ্টের ষড়যন্ত্র ও নিষিদ্ধ সংগঠনকে উসকে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে।
‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ নামের একটি সংগঠনের কেন্দ্রীয় সংগঠক আরিয়ান আহমেদ এই অভিযোগ করেন। অভিযুক্ত অপর দুজন হলেন মারিয়া কিসপট্টা ও ইমতু রাতিশ ইমতিয়াজ।
ওই অভিযোগে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা হয়। এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই মাসের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের মধ্যেও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুসারীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশে অবস্থান করে রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এসব কর্মকাণ্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।
মামলায় আরও বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন টেলিভিশন টক শোতে অংশ নিয়ে নিষিদ্ধ সংগঠনকে পুনরুজ্জীবিত করার প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মাধ্যমে তাঁরা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের অপচেষ্টা করছেন।
এতে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের এসব বক্তব্য ও অনলাইন কার্যক্রমের কারণে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা উসকানি পাচ্ছেন। ফলে তাঁরা রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, সহিংসতা ও অবকাঠামো ধ্বংসের মতো কর্মকাণ্ডে জড়িত হচ্ছেন।