রাজধানীর মিরপুরে এক বাসায় দীর্ঘদিন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন সায়মা আক্তার (২০)। মাস তিন-চারেক আগে সেই বাসা থেকে স্বর্ণালংকারসহ নগদ টাকা নিয়ে সটকে পড়েন। এরপর চুরি করা টাকা খরচ করে মা আছমা আক্তারকে (৩৭) সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান। অবশ্য শেষ রক্ষা হয়নি। পুলিশের জালে ধরা পড়েন মা-মেয়ে দুজনই।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। সায়মার মাকে চুরি হওয়া মালামাল বিক্রি ও সহযোগিতার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে চুরি করা স্বর্ণ, নগদ টাকা ও অন্য মালামাল উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, সায়মা দীর্ঘদিন ধরেই মিরপুরে বসতি হাউজিংয়ের একটি বাসায় কাজ করতেন। গত ২৫ মে বাসা থেকে স্বর্ণসহ প্রায় চার লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান। চুরি করা স্বর্ণ তিনি ঢাকা ও কিশোরগঞ্জের তিনটি দোকানে বিক্রি করেন। বিক্রি করা এসব টাকা দিয়ে গত তিন মাস দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়ান।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সায়মা পুলিশকে জানিয়েছেন, চুরির কিছু টাকা দিয়ে তিনি খালাকে বাড়ি করে দেন। এরপর মা-মেয়ে কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ঢাকা ও সিলেটের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর থানার পশ্চিম আবদুল্লাহপুর মামার বাড়ি থেকে সায়মাকে এবং তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে লক্ষ্মীপুর কোনাবাড়ী থেকে তাঁর মা আছমাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ শুক্রবার গ্রেপ্তারকৃতদের তিন দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।