মাদারীপুরে চাঞ্চল্যকর রাজিব সরদার (২৫) হত্যা মামলার ১১ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়েছে। রায়ে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া ৬ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মাদারীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
রাজিব সরদার মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার চরঝাউতলা গ্রামের এনামুল হক সরদারের ছেলে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—জসিম হাওলাদার, মনির হাওলাদার, সুমন শরীফ, সাগর শরীফ, হাফিজুল কাজী, কালু কাজী, আলাউদ্দিন কাজী, তুষার শরীফ, ইউসুফ হাওলাদার, আজিজুল হাওলাদার, আব্দুল হাই হাওলাদার, আব্দুল হক হাওলাদার, জহিরুল হাওলাদার, রাসেল হাওলাদার, রাজা হাওলাদার, কালু হাওলাদার, সোবহান হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, রেজাউল হাওলাদার, শামিম হাওলাদার, আহাদ হাওলাদার, দলিলউদ্দিন হাওলাদার, অলিলউদ্দিন হাওলাদার।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন—সেকেন হাওলাদার, উজ্জ্বল হাওলাদার, নুরুল আমিন হাওলাদার, বাকিবিল্লা হাওলাদার, জামাল হাওলাদার ও রুবেল হাওলাদার। আসামিরা সবাই মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজির হাওলা গ্রামের লে. ফারুক সড়কের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিহতের মামা আলী হাওলাদার বাদী হয়ে ঘটনার তিন দিন পর মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় জামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, আছাদ হাওলাদারসহ ৪৭ জনকে। মামলার পর সদর থানার তৎকালীন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব হোসেন তদন্ত করেন। ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর ৩৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি। এরপর আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে সাক্ষী-প্রমাণের ওপর ভিত্তি করে ২৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড ৬ জনকে যাবজ্জীবনসহ প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ২২ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামি জামাল হাওলাদারের স্ত্রী ইয়াসমিন দিবা বলেন, ‘এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট না। আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
মাদারীপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক রায়। দীর্ঘ ১১ বছর যুক্তিতর্ক শেষে আদালত এই মামলার ২৩ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।’