রাজধানীর শুক্রাবাদে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার সেই বিউটিশিয়ান নারীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ওই নারীর আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় ভ্রূণের কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢামেক ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) প্রধান সমন্বয়ক ডা. বিলকিস বেগম। যদিও ওই নারী পুলিশকে জানিয়েছিলেন, তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
আজ শনিবার দুপুরে ডা. বিলকিস বেগম ওই বিউটিশিয়ান অন্তঃসত্ত্বা না হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ডা. বিলকিস বলেন, ‘আল্ট্রাসনোগ্রামের রিপোর্টে দেখা গেছে ওই নারী অন্তঃসত্ত্বা নন। আমাদের এখানে ভর্তি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিয়ম অনুযায়ী আমরা তাঁর বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করি। এর পাশাপাশি আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পরে দেখা যায় তাঁর পেটে কোনো সন্তান নেই। ওই নারী এক মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলেও পরীক্ষার রিপোর্টে সেটি আসত। কিন্তু সেরকম কিছুই পাওয়া যায়নি। আজকে তাঁকে ওসিসি থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালের পরীক্ষায় তিনি অন্তঃসত্ত্বা নন বলে প্রমাণিত হয়েছে।’
ফোনে অর্ডার পেয়ে গত ১১ অক্টোবর রাতে ফেসিয়াল সেবা দিতে এসে গণধর্ষণের শিকার হন ওই বিউটিশিয়ান। পরের দিন তিনি ধানমন্ডি থানায় অভিযোগ দিলে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। এই ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা হলে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।