হোম > সারা দেশ > ঢাকা

ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাতে পারেন—আদালতে আনিস আলমগীর

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। ছবি: ফোকাস বাংলা

রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে আজ সোমবার বিকেলে আদালতে তোলা হয়। এ সময় রিমান্ড শুনানিতে তিনি আদালতকে বলেন, ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবেন, বানাতে পারেন।

ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জশিতা ইসলামের আদালতে আনিস আলমগীরকে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। সন্ধ্যার পর কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থার মধ্য দিয়ে তাঁকে এজলাসে তোলা হয়।

আনিস আলমগীরের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী নাজনীন নাহার। তাঁর সঙ্গে মোরশেদ শাহীন আসলাম মিয়াসহ আরও আইনজীবী শুনানিতে অংশ নেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি আদালতকে বলেন, আনিস আলমগীর আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করছেন। নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত না হতে পারে, সে জন্য তিনি টক শোতে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে কথা বলছেন। তিনি উসকানি দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। তাঁর পেছনে কারা আছে, তা জানার জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

নাজনীন নাহার আনিস আলমগীরের পক্ষে বলেন, আনিস আলমগীর একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক। তিনি সরকার উৎখাতের কোনো ষড়যন্ত্র বা নির্বাচন বানচালের কোনো ষড়যন্ত্রে জড়িত নন। টক শোতে তিনি যে কথা বলেছেন, সেটা তাঁর স্বাধীন মতপ্রকাশ। এই ক্ষেত্রে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হওয়াটা মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ।

একপর্যায়ে আনিস আলমগীর আদালতের অনুমতি নিয়ে বলেন, ‘আমাকে যারা নির্দিষ্ট দলের গোলাম বানাতে চায়, এটা তাদের সমস্যা।’

আদালতে আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি সাংবাদিক। আমি ক্ষমতাকে প্রশ্ন করি। দুই যুগ ধরে আমি এটা করে এসেছি। আমার জব (কাজ) কারও কাছে নতজানু হওয়া না। আমাকে যারা নির্দিষ্ট দলের গোলাম বানাতে চায়, এটা তাদের সমস্যা।’

আনিস আলমগীর আরও বলেন, ‘আমার ফেসবুকে আমি সব বক্তব্য দিই। এখানে অপ্রকাশিত নেই কোনো কিছু। আমি ইউনূসের (প্রধান উপদেষ্টা) বাড়ি আক্রমণের কথা বলেছি। কিন্তু কোন কারণে বলেছি, ৩২–এ আক্রমণ এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি। এটা ফিরে আসবে। সেটা বলেছি। জুলাইয়ের স্পিরিট কীভাবে বাড়বে, আমরা সেটা বলেছি। এখানে আমার ভুল কী হয়েছে, আমি জানি না। আমার সঙ্গে কারও যোগসূত্র নেই। ড. ইউনূস যদি চান, সারা বাংলাদেশকে কারাগার বানাবেন, বানাতে পারেন।’

আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমার সঙ্গে কেউ নেই। এই মামলায় আরও যাদের আসামি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে শাওন আফরোজকে আমি চিনি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার কখনো দেখাই হয়নি। অন্য দুজনের সঙ্গে আমার পরিচয় নেই। কাজেই, সবাই মিলে কীভাবে ষড়যন্ত্র করলাম, সেই প্রশ্ন থাকল আমার।’

আনিস আলমগীর বলেন, ‘আমি টক শোতে বলেছি, নির্বাচন হতেই হবে। কোনো কারণে নির্বাচন যদি বাতিল হয় বা নির্বাচন যদি না হয়, তাহলে এ দেশ মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছি সব সময়। তবুও আমাকে কেন নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের জন্য মামলায় আসামি করা হলো, তা বোধগম্য নয়।’

আনিস আলমগীর আরও বলেন, ‘জুলাই স্পিরিট কীভাবে বাড়বে, আমি সব সময় তাই বলে এসেছি। অনেক ক্ষেত্রে সমালোচনা করেছি, সেটা জুলাই স্পিরিট ধারণ করার জন্য, বাড়ানোর জন্য। আমি কোনো দলের পক্ষে কখনো কথা বলিনি।’

এরপর আনিস আলমগীর আরও কথা বলতে চান। এ সময় আদালতের মধ্যে উপস্থিত আইনজীবীরা তাঁকে থামতে বলেন। কয়েকজন ধমক দিয়ে বলেন, ‘আর কথা নয়।’ এ সময় আনিস আলমগীরের পক্ষের আইনজীবীরা কথা বলতে গেলে তাঁদেরও ‘চুপ’ ‘চুপ’ বলতে থাকেন। পরে আদালত আদেশ দেন। পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আনিস আলমগীর কাঠগড়ায় কেঁদেছেন

সন্ধ্যার পরে আদালতের কাঠগড়ায় তোলার পরে তাঁর পক্ষের আইনজীবীরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। এ সময় তিনি আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে তিনি কেঁদে ফেলেন।

হাদি সিঙ্গাপুরে, হামলার নেপথ্যের ব্যক্তিরা অজানা

রাজধানীর দক্ষিণখানে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা

ট্রাফিক পুলিশকে ২০০ মিটার টেনে নিয়ে যাওয়া অটোরিকশাচালক গ্রেপ্তার

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত ও খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় এতিম শিশুদের দোয়া

আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার স্বৈরাচারী আমলে সাংবাদিক দমন-পীড়নের পুনরাবৃত্তি

কেরানীগঞ্জে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

জবি ভিসির ভবন ঘেরাও করে রেখেছেন আস-সুন্নাহর মেধাবী প্রজেক্টের শিক্ষার্থীরা

আতিফ আসলামের কনসার্ট নিয়ে প্রতারণা: মেইন স্টেজের ৫ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

আনিস আলমগীরকে ৫ দিনের রিমান্ডে পেল পুলিশ

সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ