গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় ছুরিকাঘাতে এক স্কুলছাত্র নিহত এবং অপর একজন আহত হয়েছে।
গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের নাম মো. শাকিল মিয়া (১৭)। সে ময়মনসিংহের গৌরীপুর থানার ধীপপুর এলাকার মো. রেজাউল করিমের ছেলে। শাকিল মিয়া পরিবারের সঙ্গে গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন কুনিয়াপাছর এলাকার রুবেল মোল্লার বাসায় ভাড়া থাকতো। সে স্থানীয় প্রতিভা স্কুলের ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মো. ফাহিম (১২) স্থানীয় গাছা থানাধীন কুনিয়াপাছর এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে এবং প্রত্যাশা কিন্ডারগার্ডেনের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাবিবুল্লা (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তিনি একাধিক মামলার আসামি এবং তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) গাছা থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, গাজীপুর মহানগরীল গাছা থানাধীন কুনিয়াপাছর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের দু’পক্ষের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল। সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় তালেব মার্কেটের সামনে সোনাপাড়া এলাকার ২৪/২৫ জন কিশোর ও যুবক অবস্থান নেয়। এসময় সেখানে প্রতিপক্ষের শাকিল মিয়া (১৭) ও মো. ফাহিমের (১২) সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা শাকিল ও মো. ফাহিমকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, এলাকাবাসী গুরুতর আহত শাকিল ও ফাহিমকে স্থানীয় তায়েরুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শাকিলকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহত ফাহিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। পুলিশ নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
জিএমপির সহকারী উপ পুলিশ কমিশনার শাহাদৎ হোসেন বলেন, পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাবিবুল্লা নামে একজনকে আটক করেছে। তিনি একাধিক মামলার আসামি এবং তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। কী নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। নিহতের স্বজনরা মরদেহ দাফন নিয়ে ব্যস্ত থাকায় এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।