নরসিংদীর পলাশে যুবকের দুই হাতের কবজি কাটার ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। আজ মঙ্গলবার ভোরে নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে জালাল ওরফে শাহজালাল মিয়া (৫৫) ও শিবপুর উপজেলার মিয়ারগাঁও এলাকার আলফাজ উদ্দিনের ছেলে ফারুক মিয়া (৩৫)।
গোয়েন্দা শাখা থেকে জানানো হয়, গ্রেপ্তার দুজনসহ অন্য আসামিরা চাকরি দেওয়ার কথা বলে গত ২৮ জুন শিবপুর উপজেলার বাড়ৈগাঁও দক্ষিণপাড়ার মোর্শেদ মিয়ার ছেলে হাদিউল ইসলামকে (১৯) পলাশ উপজেলার নোয়াকান্দা এলাকায় নিয়ে যান। পরে কালুর বাড়িসংলগ্ন শহিদুলের কলাবাগানে নিয়ে হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর করেন। এ সময় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হাদিউলের দুই হাত কবজি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেন। পরে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হাত এবং মুখের বাঁধন খুলে চলে গেলে চিৎকার করেন হাদিউল।
খবর পেয়ে থানা-পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট নরসিংদী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনায় ২ জুলাই হাদিউলের বাবা মোর্শেদ মিয়া বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে পলাশ থানায় মামলা করেন। পরে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া জালালের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুনসহ ১২টি মামলা বিচারাধীন আছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।