গাজীপুরের শ্রীপুরে সকালে ঘুম থেকে উঠে ঘরের ভেতরে নাসরিন আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ দেখতে পান স্বজনেরা। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী হৃদয় মিয়া (২৬) ও তাদের চার বছরের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের অভিযোগ, ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁকে গলা টিপে হত্যার পর শিশুকন্যাকে নিয়ে পালিয়েছেন স্বামী।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মাওনা ইউনিয়নের চকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নাসরিন আক্তার উপজেলার চকপাড়া গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে। স্বামী হৃদয় মিয়া গাজীপুর মহানগরীর মসলিসপুর এলাকার আলিমুল ইসলামের ছেলে এবং পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি।
গৃহবধূর ছোট ভাই পলাশ মিয়া বলেন, ‘রাত ১১টা দিকে আমার বোন ও শিশুকন্যাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে বোনজামাই। এরপর সকাল ৮টার দিকে আমার বোনের রুমে গিয়ে দেখতে পাই আমার বোনজামাই আর চার বছর বয়সী শিশুকন্যা ঘরে নেই, আমার বোন ঘুমিয়ে রয়েছে। এরপর আমি আমার মাকে ডেকে আনি। এরপর মা আর আমি বোনকে ডাকাডাকি করলেও সে ঘুম থেকে ওঠেনি। কাছে গিয়ে মা শরীরে হাত দিয়ে দেখে শরীর ঠান্ডা হয়ে আছে। এরপর মা কান্নাকাটি শুরু করে।’
মাওনা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মিন্টু মোল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির কাজ চলছে। স্বামী পলাতক রয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। স্বামীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পলাতক স্বামীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার করা হবে।’