হোম > অপরাধ > ঢাকা

রাজধানীতে গণপরিবহন সীমিত, অফিসগামীদের ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল সীমিত রয়েছে। এতে অফিসগামী যাত্রীরা ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়ছেন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও বাস পাচ্ছেন না অনেকে। মাঝেমধ্যে বাস এলে তাড়াহুড়ো-ধাক্কাধাক্কি করে বাসে উঠতে হচ্ছে। সকাল থেকেই ঢাকার সড়কে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। 

রাজধানীর বাংলামোটরের একটি ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠানের কর্মী রায়হান। মোহাম্মদপুর থেকে প্রতিদিন অফিসে আসা যাওয়া করেন মোহাম্মদপুর-বনশ্রী রুটে চলাচল করা স্বাধীন পরিবহনে। কারণ এই একটি মাত্র পরিবহন ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর হয়ে রামপুরা বনশ্রী যাতায়াত করে। অন্য দিনগুলোর মতো আজও বাসের লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু বাসের দেখা পাচ্ছেন না। ৪০ মিনিট অপেক্ষার পর জানতে পারলেন সকালে কিছু বাস চললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে বন্ধ রাখা হচ্ছে। কেন যাবে না জানতে চাইলে শ্রমিকেরা বলছেন, বাস আছে কিন্তু রাস্তায় সমস্যা তাই যাবে না। 

আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে এমনই চিত্রের দেখা মিলেছে। রায়হানের মত শত শত অফিসগামী মানুষ বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। কোনোমতে বাসে উঠতে পারলেও ভেতরে গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে। কেউ কেউ রিকশা আবার কেউ হেঁটেই ছুটছেন গন্তব্যে। 

তাছনিম নামের এক যাত্রী বলেন, লিংক রোড থেকে বনশ্রী আসার জন্য রবরব, আলিফ গাড়ির অপেক্ষায় ২৫ মিনিট দাঁড়িয়ে থেকেছি। এর পরেও একটি রবরব এলেও বসার সুযোগ হয়নি। সচরাচর এই সময় বাসে ৫ থেকে ১০ জন যাত্রী থাকে। আজ ভীষণ গাদাগাদি ছিল। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গতরাতে রামপুরায় বাস চাপায় এক শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ১২টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের পরে বাস চালানো নিয়ে শঙ্কিত পরিবহন শ্রমিকেরা। তাঁরা বলছেন, শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় যে কোনো সময়ে শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হতে পারেন তাঁরা। 

বাস বন্ধ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে স্বাধীন পরিবহনের সুপারভাইজার মো. রিয়াজ বলেন, রাস্তায় পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। পুলিশের সামনে ছাত্ররা বাস ভাঙচুর করে, তাঁরা কিছুই বলে না। 

তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫০-৬০টা বাস ছাড়ার কথা; কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ১৭টা বাস গেছে। গাড়ি চালক ও হেলপারেরা আতঙ্কিত। তাঁরা রাস্তায় নামতে চাচ্ছে না। কারণ যে গাড়িটা ঘটনার জন্য দায়ী সেটা ভাঙার পাশাপাশি সামনে যে বাস থাকে সেটিকেও ভাঙে। কেউ গাড়ি নিয়ে রাস্তায় নামতে চায় না। 

মোহাম্মদপুর, শাহবাগ, কাকরাইল হয়ে বনশ্রী রুটে চলাচল করা তরঙ্গ পরিবহনের সুপারভাইজার মো. আহাদ বলেন, আমাদের সব বাস চলছে। তবে যাত্রী কম। যে বাস ঘটনার জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সবাইকে হয়রানি করলে সাধারণ মানুষের বিপদ হচ্ছে। তারা সঠিক সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে না। 

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে ধূপখোলা রুটে চলাচল করা মালঞ্চ পরিবহনের সুপারভাইজার মো. বিপ্লব বলেন, আমরা চিন্তিত। বাস আছে কিন্তু চালানোর লোক নেই। চেষ্টা করেও আনতে পারছি না। 

একই পরিবহনের একটি বাসে কনট্রাক্টর শাওন মিয়া মিয়া বলেন, রাস্তায় যাত্রী কম। রাস্তার খরচ তুলতে কষ্ট হয়ে যায়। জানি না, আবার কখন বাস বন্ধ করে দিতে বলে। 

রাতে শাহবাগে কেউ অবস্থান করতে পারবে না: ইনকিলাব মঞ্চ

রাতে শাহবাগে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

‎মোহাম্মদপুরে যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে জখম, দুজন আটক

পুরান ঢাকায় বাহাদুর শাহ পার্কের পাশ থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার

প্রথম আলো-ডেইলি স্টারে হামলা মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের ওপর আঘাত: ক্র্যাব

প্রথম আলোতে হামলার ঘটনায় আরও ২ আসামি কারাগারে

‘যেকোনো মুহূর্তে’ যমুনা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি ইনকিলাব মঞ্চের

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কিশোরগঞ্জের এক যুবক নিহত

হাদি হত্যার বিচার দাবিতে আবারও শাহবাগ মোড়ে ইনকিলাব মঞ্চ

‎জবির ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন