অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজী (৩৫)। টার্গেট করে মধ্যবিত্ত পরিবারের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। এরপর কম খরচে পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখান। ভুয়া ভিসা ও জাল কাগজপত্র তৈরি করেন। তারপর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। অস্ট্রেলিয়ায় বসে বাংলাদেশে প্রতারক চক্র গড়ে তুলেছেন রোজী। সেই চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন সাইমুন ইসলাম (২৬) ও আশফাকুজ্জামান খন্দকার (২৬)। তাদের কাছ থেকে জাল ভিসা তৈরির কাজে ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার, অস্ট্রেলিয়ার জাল ভিসা গ্রান্ট নোটিশ সাতটি, ফ্রি চিকিৎসার হেলথ মেডিকেয়ার কার্ড ৫টি ও অস্ট্রেলিয়া বিমানের টিকিট ৬টি জব্দ করা হয়।
রোববার দুপুরে মালিবাগের সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, এমন ফাঁদে পড়ে স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের আট সদস্যসহ অস্ট্রেলিয়ায় যেতে চেয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট এম এ বি এম খায়রুল ইসলাম। এরপর দুটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ৭৫ লাখ ৩৮ হাজার টাকা রোজীর অ্যাকাউন্টে দেন। এরপর কাগজপত্র ও ভিসা হাতে পেয়ে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখতে পান সবগুলোই ভুয়া এবং জাল। এরপর তিনি অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী উম্মে ফাতেমা রোজীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রোজীর সহযোগী চক্রের দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
রোজীকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, `আমরা আশা করছি তাঁকে দ্রুতই দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। এরপর জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।'