মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বরাইদ ইউনিয়নের নির্বাচিত এক ইউপি সদস্যকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে একটি ধানখেতের পাশে ওই ইউপি সদস্যের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা।
নিহত ইউপি সদস্য পাতিলাপাড়া গ্রামের দারোগা আলীর ছেলে ফরহাদ মিয়া (৫৩)। এ ঘটনায় থানা-পুলিশ, সিআইডিসহ পুলিশের বিভিন্ন টিম তদন্তের ব্যাপারে কাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় মেশিনের তেল আনার জন্য দোকান যান তিনি। এরপর আর বাড়িতে ফেরেননি। পরিবারের লোকজন রাতে এলাকার আশপাশে তাঁকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন।
নিহত ইউপি সদস্যের সহযোগী ফারুক (৩০) বলেন, ‘রাতে নিহত ইউপি সদস্যকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে রাত প্রায় সাড়ে ১০টার দিকে তাঁকে ফোন করি। কিন্তু ফোন রিসিভ করে তিনি কথা বলেননি। এরপর থেকেই তাঁর ফোন নম্বর বন্ধ পাচ্ছি। সকাল ৬টার দিকে খবর শুনি, ইবাদতের বাড়ির ধানখেতের পাশে কে বা কারা খুন করে ইউপি সদস্যের মরদেহ ফেলে রেখে গেছে।
এ বিষয়ে নিহত ইউপি সদস্যের মেয়ে ফরিদা বলেন, ‘গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় দোকান থেকে তেল আনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি বাবা। সারা রাত খোঁজাখুঁজি করে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেও কোনো সন্ধান পাইনি। পরে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ইবাদতের বাড়ির কাছে ধানখেতের পাশে দেখি সারা শরীরে মাটি জড়ানো বাবার মরদেহ।’
এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ জেলা পিবিআই টিমের এসআই সামরুল ইসলাম জানান, কী কারণে বা কারা হত্যা করেছে—এ তথ্য এখনো জানা যায়নি। তবে তাঁকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এবং আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে আমাদের টিমের কনস্টেবল আলমগীর হোসেন ধানখেতের ভেতর থেকে নিহতের মোবাইল উদ্ধার করেছেন। আশা করি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্তের মাধ্যমে খুনিকে শনাক্ত করা হবে। এ ছাড়া মরদেহ ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।