রাজধানীর আফতাবনগরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাড্ডার আনন্দনগর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাঁদের কাছে থাকা ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত দুটি চাপাতি, একটি রক্তমাখা শার্ট ও ভুক্তভোগীর ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. ইমরান হোসেন ওরফে ঝাওয়ালী ওরফে জালালী (২৩) ও শাহজাহান (২৮)। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদ।
গত রোববার রাতে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অপর্ণা আক্তার ইতি। চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তাঁর কাছে থাকা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যান দুজন ছিনতাইকারী। আহত ইতি ঘটনার পর থেকে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর শরীরে দুবার অস্ত্রপচার করা হয়েছে। চাপাতির আঘাতে তাঁর হাতের হাড়সহ কেটে গেছে বলে স্বজনেরা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ইতির ভাই মোহাম্মদ আল আমিন বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় অভিযোগ করলে একটি দস্যুতার মামলা হয়।
উপপুলিশ কমিশনার মো. আ. আহাদ বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ও ম্যানুয়াল পদ্ধতির সমন্বয়ে ছিনতাইকারীদের শনাক্ত করা হলেও ছিনতাইকারীরা অত্যন্ত চতুর হওয়ায় বারবার স্থান পরিবর্তন করে আত্মগোপনের চেষ্টা করছিলেন। বাড্ডা থানার একাধিক পুলিশ টিম বিভিন্ন স্থানে একটানা ৪০ ঘণ্টা অভিযান করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত দুজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারদের বরাত দিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে মামলার তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত আছে। ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।