সাবেক মন্ত্রী ও ফরিদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস ও জেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক এ এইচ এম ফোয়াদের নামে সাড়ে ৫ কোটি টাকার আরেকটি মানি লন্ডারিংয়ের মামলা হয়েছে। বুধবার রাতে ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই বিচিত্রা রানী বিশ্বাস মামলাটি দায়ের করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার কাফরুল থানায় সিআইডি ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও সাজ্জাদ হোসেন বরকতের নামে ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করেন। ওই মামলারও আসামি ফোয়াদ। ফোয়াদ বর্তমানে কারাগারে আছেন।
সাড়ে ৫ কোটি টাকার আরেকটি মানি লন্ডারিংয়ের মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল।
এম এ জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ এইচ এম ফোয়াদ (৫২) ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার বিলনালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। ফোয়াদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৪৪ লাখ ৯৫ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন সংশোধনী ২০১৫-এর ৪ (২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।’
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘এ এইচ এম ফোয়াদ ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছত্রচ্ছায়ায় থেকে ফরিদপুরের সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের সহায়তায় হেলমেট বাহিনী গঠন করেন। এই বাহিনী দিয়ে এলজিইডি, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, গণপূর্ত বিভাগ, বিএডিসি, সড়ক বিভাগসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে ভূসম্পত্তিসহ প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন চাকরিতে নিয়োগে মন্ত্রীর সুপারিশ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে অবৈধভাবে বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।’
এম এ জলিল জানান, সিআইডির দায়ের করা এই মামলার তদন্ত সিআইডিই করবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ২০২১ সালের ১২ অক্টোবর রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে ফোয়াদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে সাতটি মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি এ এইচ এম ফোয়াদ। এর মধ্যে তিনটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।