ঢাকা: রাজধানীর বংশালে রিকশাচালককে মারধরকারী সেই সুলতানের ঈদ কেটেছে কারাগারে। গত ৫ মে থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। ঈদের ছুটির আগের দিন গত ১২ মে তাঁর জামিন শুনানি হয়।
জামিন শুনানিতে মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে আসামির আইনজীবী বলেন, ‘আসামি ভুল করেছেন। এর খেসারত তিনি দিয়েছেন। সামনে ঈদ তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।’ এর জবাবে আদালত বলেন, ‘আসামির যে অপরাধ তাঁকে এই মুহূর্তে জামিন দেওয়া যাচ্ছে না। একজন খেটে খাওয়া, নিরীহ ব্যক্তিকে তিনি মারধর করেছেন। এমন অপরাধ আর কেউ যেন না করে।’
উল্লেখ্য, গত ৪ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিকশাচালককে মারধরের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, পুরান ঢাকার বংশালে সুলতান নামের এক ব্যক্তি রিকশাচালককে চড়-থাপ্পড় মারছেন। একপর্যায়ে রিকশাওয়ালা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং জ্ঞান হারান। ভিডিওটি বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের হাতে এলে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বংশাল থানাকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। বংশাল থানা পুলিশ সেদিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একসময় এলাকায় চা বিক্রি করতেন সুলতান। এলাকায় তাঁর চায়ের সুনাম ছিল। সেখান থেকে বংশালে সাইকেলের দোকান দেন।
ঢাকার আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এডিশনাল পিপি) আনোয়ারুর কবির বাবুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, আইনের ভাষায় এই ধরনের অপরাধ খুব বড় ধরনের অপরাধ নয়। এই ধারার মামলায় আসামি গ্রেপ্তার হলে সেটা জামিনযোগ্য। কিন্তু আসামি সুলতানকে জামিন না দেওয়ার কারণ তিনি একজন নিরীহ, খেটে খাওয়া মানুষের গায়ে হাত দিয়ে অত্যন্ত গর্হিত কাজ করেছেন। তাঁর এমন পরিণতি সবার জন্যই একটা শিক্ষণীয় ঘটনা। এমন কাজে অন্যদেরকে নিরূৎসাহিত করাই আদালতের উদ্দেশ্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এখনো ওই রিকশাচলকের সন্ধান মেলেনি। তবে পুলিশ ৫৪ ধারায় সুলতানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে নিয়েছে।