‘শারমিনকে নিয়ে চলে গেছে শিমুল। আমি কীভাবে মুখ দেখাব। শিমুলকে শাস্তি দিয়ো, না হলে আত্মা শান্তি পাবে না।’ এটুকু লেখা ডায়েরি পায়ের নিচে রেখে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছেন এক তরুণী।
গতকাল শনিবার ভোরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার চর দৌলতদিয়া পরশউল্লাহ মাতুব্বর পাড়ার একটি বাড়ি থেকে পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে।
পুলিশ জানায়, এই তরুণীর নাম রুমি আক্তার। বাবার নাম বদু প্রামাণিক। তিনি গোয়ালন্দের সাহাজদ্দিন মণ্ডল ইনস্টিটিউট থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন।
তরুণীর চাচা আমজাদ হোসেন জানান, শনিবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে রান্নাবান্না করেন রুমি। মা সেই খাবার নিয়ে পাশের মাঠে যান বাবাকে দিতে। আধা ঘণ্টা পরে তিনি ফিরে এসে দেখেন রুমির মৃতদেহ ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলছে। তিনি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এসে মৃতদেহ নামায়। এ সময় রুমির পায়ের নিচে একটি ডায়েরি ও চিঠি পাওয়া যায়।
পরিবারের সূত্রে জানা যায়, রুমির সঙ্গে পাশের গ্রামের যুবক শিমুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত শুক্রবার রাতে শিমুল শারমিন নামে এক তরুণীকে নিয়ে পালিয়ে যান। চিরকুটে রুমি লিখেছেন, ‘আমি শিমুলকে খুব ভালোবাসি’।
জানতে চাইলে গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই দেওয়ান শামীম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার ও হাতে লেখাগুলো জব্দ করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।