নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় দোকান ভাড়া নিয়ে বিরোধের জেরে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারীসহ অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত বাড়ির মালিক আজাহার তালুকদারকে (৬৫)।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টায় চাষাঢ়া বাগে জান্নাত মসজিদ সংলগ্ন ‘সুলতান ভাই কাচ্চি’ রেস্তোরাঁয় এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন-রেস্তোরাঁর ম্যানেজার শফিকুর রহমান কাজল (৫০), পথচারী ইউনুস (৩৫) এবং অভিযুক্তের মেয়ে লাকি (২৩)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, আজাহার তালুকদার ও তাঁর চার ভাই আংগুরা ভিলা নামে একটি ছয়তলা বাড়ির মালিক। বাড়ির নিচতলায় থাকা বেশ কয়েকটি দোকান এক এক ভাইয়ের নামে বরাদ্দ। রেস্তোরাঁর মালিক শুক্কুর আলী আজাহারের ছোট ভাই আজিজুল হাওলাদারের কাছ থেকে ভাড়া নেয়। রোববার রাত সাড়ে ৮টায় আজাহার রেস্তোরাঁয় প্রবেশ করে পানির জন্য ১০ লাখ টাকা এককালীন বিল চায়। এ সময় রেস্তোরাঁর মালিক জানায়, ভাড়ার বিষয়ে আজিজুলের সঙ্গে কথা বলবে।
ভাড়া নিয়ে কথাবার্তার একপর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে পরে আজাহার ও দোকানের মালিকপক্ষ। একপর্যায়ে আজাহার ক্ষুব্ধ হয়ে ঘর থেকে পিস্তল ও শটগান নিয়ে আসে এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। এতে রেস্তোরাঁর ম্যানেজার শফিফুর রহমান কাজলের পেটে গুলি লেগে গুরুতর আহত হন। একই সময়ে আহত হন রাসেল নামে এক পথচারী। আজাহারকে নিবৃত্ত করতে গিয়ে তাঁর মেয়ে লাকিও পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। পরে আশপাশের লোকজন আজাহারকে মারধর শুরু করলে তিনি দৌড়ে ঘরে গিয়ে আশ্রয় নেন।
রেস্তোরাঁর মালিক শুক্কুর আলী বলেন, ‘পানির বিল বাবদ ১০ লাখ টাকা চেয়ে আমাদের গালমন্দ করতে থাকেন আজাহার। আমরা প্রতিবাদ করে বলি—এই বিষয়ে তাঁর ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলব। কিন্তু তিনি কথা না শুনে দৌড়ে পিস্তল আর বন্দুক এনে গুলি চালায়। আমাদের ম্যানেজার কাজলসহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ম্যানেজারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাঁর অবস্থা গুরুতর।’
এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা। তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে একজন আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। আজাহার রাগের বশেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। তাঁকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে অধিকতর তথ্য বেরিয়ে আসবে।’