ভাঙ্গায় এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর পেট থেকে বের করা হয়েছে ২৬টি পলিথিনের প্যাকেট। প্রতিটি প্যাকেটে ৪০টি করে মোট ১ হাজার ৪০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার পুলিশের বিশেষ অভিযানে উপজেলার মালিগ্রাম বাজারের ফ্লাইওভারের নিচে সিএনজি অটোরিকশায় বসে থাকা তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁদের ফরিদপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ইয়াবা ট্যাবলেট বহনকারী ওই ব্যক্তি কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ছোটন দাস। ছোটন দাসের বাড়ি কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলার রুমখা পালং গ্রামে। তাঁর সঙ্গে একই এলাকার নূর মোহাম্মদ (২৪) এবং ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের বরদিয়া গ্রামের আমির হোসেন (২১) ছিলেন। কক্সবাজারের উখিয়া থেকে ছোটন এই ট্যাবলেটগুলি পেটে বহন করে ভাঙ্গায় বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছিলেন।
ভাঙ্গা থানার পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার দুপুরে ভাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ এবং তার সঙ্গীয় ফোর্স ভাঙ্গা উপজেলার মালিগ্রামে অভিযান পরিচালনাকালে একটি সিএনজি অটোরিকশায় বসে থাকা তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেন। পরে সার্চ করা হলে তাঁদের কাছে কোনো ইয়াবা ট্যাবলেট নেই বলে জানান। পরে পুলিশ তিনজনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে এক্স-রে করায়। সন্ধ্যায় এক্স-রে পরিচালনার সময় এই তিন যুবকের মধ্যে ছোটন দাসের (৩১) পেটের ভেতরে পলিথিনের প্যাকেট দেখা যায়। তাঁকে ওষুধ খাওয়ানো হলে ২৬টি পলিথিনের প্যাকেট তাঁর পায়ুপথ দিয়ে বের হয়।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। তাঁদের এই চক্রের পেছনে কে বা কারা জড়িত, তা খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।