গাজীপুরের টঙ্গীতে পরিত্যক্ত সিনেমা হলের ভেতর এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টঙ্গীর ব্যাংক মাঠ বস্তি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই যুবককে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
ঘটনার পর ওই কিশোরী অসুস্থ হয়ে পড়লে টঙ্গী শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসা জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার আবুল কালামের ছেলে জোনায়েদ হোসেন (২০) ও নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার আলপবাড়ি গ্রামের কাবিল মিয়ার ছেলে মো. শিপু (২২)। জোনায়েদ টঙ্গীর গোপালপুর এলাকায় ও শিপু তিস্তা গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, টঙ্গীর ব্যাংক মাঠ এলাকায় পরিত্যক্ত ক্যাপরী সিনেমা হলের প্রাচীর ভাঙা। সন্ধ্যা হলের ভেতর বসে মাদকের আসর। আজ দুপুরে জোনায়েদ ও শিপুর সঙ্গে ওই পরিত্যক্ত হলের যায় এক কিশোরী। কিছুক্ষণ পর ভেতর থেকে চিৎকার শুনতে পেয়ে স্থানীয়রা এগিয়ে যায়। এ সময় দুই যুবককে আটক করে পিটুনি দেয়। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে পরিত্যক্ত হলের ভেতর থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ও যুবকদের গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে এসেছি। কিশোরী অসুস্থ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাফিজ মজিব বলেন, ‘ধর্ষণের বিষয়টি শারীরিক পরীক্ষার পর নিশ্চিত করে বলা যাবে। কিশোরীকে অজ্ঞান অবস্থায় আনা হয়। পরে জ্ঞান ফিরলেও কথা বলতে পারছিল না। উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্ত চলছে। কিশোরীকে নির্যাতনের ঘটনায় কয়জন জড়িত, সেটা এখনো জানা যায়নি। গ্রেপ্তার যুবকদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।’