অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতারণার অভিযোগে এখন পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে সাতজনকে পুলিশে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার ইসির সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আশাদুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
মো. আশাদুল হক জানান, ইসি সচিবালয়ের অফিস সহায়ক পদে গত ৩১ মার্চ এমসিকিউ এবং ১৯ মে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষায় কিছু পরীক্ষার্থী প্রতারণার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণকালে প্রশ্নোত্তরে লিখিত পরীক্ষার উত্তরপত্রের সঙ্গে তাদের বক্তব্যের অসামঞ্জস্যতা পরিলক্ষিত হওয়ায় তাদের হাতের লেখা পরীক্ষা করা হয়।
মো. আশাদুল হক জানান, পরীক্ষার পর তাদের হাতের লেখার সঙ্গে উত্তরপত্রের হাতের লেখার অমিল পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি স্বীকার করে। এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় এজাহার দায়ের করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অভিযুক্ত সাতজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশে দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন—হাফিজুর রাহমান, মো. ইরাম মিয়া, রিপন ইসলাম, পলাশ চন্দ্র, মো. তারিকুজ্জামান, মো. নূর মোহাম্মাদ এবং মো. আব্দুল্লাহ।