হোম > অপরাধ > ঢাকা

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির মামলায় আবদুস সালাম আজাদকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতির ঘটনায় করা মামলায় অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদকে দ্রুত গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর তিনি দেশের বাইরে থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি করতে বলা হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে বরখাস্তকৃত কর্মচারী মো. রুবেলের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর ছয় মাসের মধ্যে মামলার তদন্ত শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এসএম মজিবুর রহমানের বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন। 

শুনানিতে আদালত বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নথি জালিয়াতি একটা ঘৃণ্য অপরাধ। এ অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় নয়। সাহস ভালো তবে দুঃসাহস ভালো নয়। 

নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ পদের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এনামুল হক, বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফ ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের সাবেক কোষাধ্যক্ষ অবসরপ্রাপ্ত এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নাম প্রস্তাব করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নথি পাঠানো হয়। সেই নথি প্রধানমন্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করা হলে তিনি অধ্যাপক ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন। 

পরে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি পর্বে নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী ফাতেমার কাছে গেলে তিনি ফোনে ছাত্রলীগের নেতা তরিকুলকে জানান যে, এম আবদুস সালাম আজাদ কোষাধ্যক্ষ হিসেবে অনুমোদন পাননি। এরপর ছাত্রলীগ নেতা তরিকুলের পরিকল্পনা অনুযায়ী কৌশলে নথিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বের করে ফরহাদ নামে একজনের হাতে তুলে দেন ফাতেমা। সেই নথিতে ড. এম এনামুল হকের নামের পাশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টিক চিহ্নটি ‘টেম্পারিং’ করে সেখানে ক্রস চিহ্ন দেন তরিকুল। একইভাবে অধ্যাপক মো. আব্দুর রউফের নামের পাশে ক্রস চিহ্ন দিয়ে এয়ার কমোডর এম আবদুস সালাম আজাদের নামের পাশে টিক চিহ্ন দেন তিনি। পরে নথিটি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়। 

ওই নথি হস্তান্তরের আগে ফাতেমা বিকাশের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা গ্রহণ করেন এবং হস্তান্তরের পর আরেক দফায় তাঁর ছেলের বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নেন বলে মামলায় বলা হয়। ওই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম বাদী হয়ে গত বছরের ৫ মে মামলা করেন। এ মামলায় ওই ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে।

হত্যা মামলায় সুব্রত বাইনের মেয়ে কারাগারে

মির্জাপুরে যুবলীগ নেতা ফেরদৌস গ্রেপ্তার

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে তরুণকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

ফয়সালের সঙ্গে ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গেছি, এতটুকুই—আদালতে কবির

আমাদের নিরাপত্তা নিজেদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে: নাহিদ ইসলাম​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​​

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: প্রধান আসামি ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে

বিজয় দিবসে রাজাকারদের ছবিতে জুতা নিক্ষেপ করলেন জবি শিক্ষার্থীরা

জুলাই রেবেলসের দুজনকে কুপিয়ে আহতের ঘটনায় শীর্ষ সন্ত্রাসী আলতাফসহ গ্রেপ্তার ৩

বিজয় দিবসে ১০০ নৌকা নিয়ে জবি শিবিরের নৌ র‍্যালি

সিঙ্গাপুরে হাদির অবস্থার অবনতির পর স্থিতিশীল: ইনকিলাব মঞ্চ