ঢাকা থেকে নিখোঁজ স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার (৪৫) লাশ অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে দাফন করা হয়েছে মুন্সিগঞ্জে। আইনি জটিলতায় সেই লাশ পাচ্ছিলেন না স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার।
অবশেষে আজ সোমবার দুপুরে সিরাজদিখানে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মানিক দাশের আমলি আদালতে আবেদন করেন তিনি। সন্ধ্যায় আদালত লাশ উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন।
সন্ধ্যার ৭টার পরে ফাহমিদা আক্তার আজকের পত্রিকাকে জানান, আদালত লাশ উত্তোলনের আদেশ দিয়েছেন। সব প্রক্রিয়া শেষ করে লাশ বুঝে পেতে আরও কিছু সময় লাগবে।
এর আগে গতকাল রোববার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা সিরাজদিখান থানা, মুন্সিগঞ্জ আদালত এবং জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে ঘুরে লাশ ছাড়াই বাড়ি ফিরে যান।
জানা যায়, ৮ মার্চ সন্ধ্যায় সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের মরিচা সেতু এলাকার ঝোপ থেকে এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর দিন আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশটি অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করা হয়। সে দিন বেওয়ারিশ হিসেবে লাশটি মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার কাটাখালী গোরস্থানে দাফন করা হয়।
পরে এ নিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনের জের ধরে ফেসবুক এক ব্যক্তির তথ্যের ভিত্তিতে লাশটি স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার বলে শনাক্ত করেন তাঁর পরিবার।
যদিও গত ৮ মার্চ ইমতিয়াজের স্ত্রী স্বামী নিখোঁজের ঘটনায় রাজধানীর কলাবাগান থানায় জিডি করেছিলেন। পাশাপাশি সিরাজদিখান থানাও লাশটি পাওয়ার পর ছবি ও অন্যান্য তথ্য কলাবাগান থানাসহ বিভিন্ন থানায় পাঠিয়েছিল।