জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত নভেম্বরে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের অধিনায়কত্ব করেন রশিদ খান। বাকি দুটি ম্যাচে তারকা লেগস্পিনারের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন ইবরাহিম জাদরান। তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানরা কার নেতৃত্বে অংশ নেবে সেটা নিয়ে জল্পনা কল্পনা ছিল।
অবশেষে সব জল্পনা দূর হলো। রশিদের নেতৃত্বেই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলবে আফগানিস্তান। আগামী ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাটিতে সংক্ষিপ্ত ওভারের বিশ্বকাপ হবে। তার আগে রশিদকে অধিনায়ক করে ১৫ সদস্যের দল দিয়েছে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)। সহ অধিনায়কের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাদরানকে।
দলে ফেরানো হয়েছে পেসার ফাজলহক ফারুকি ও অলরাউন্ডার গুলবাদিন নাইবকে। গত অক্টোবরে বাংলাদেশ সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েন এই দুজন। গত বছরের ডিসেম্বরের পর দলে ফিরেছেন নাভিন উল হক। মোহাম্মদ গজনফারকে পেছনে ফেলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন স্পিনার মুজিব উর রহমান। রিজার্ভ দলে রাখা হয়েছে গজনফারকে। আগামী মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপের ঘোষিত দল নিয়েই ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে খেলবে ২০২৪ সালের সেমিফাইনালিস্টরা।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। আফগানিস্তানের ম্যাচ পরদিন। ৮ ফেব্রুয়ারি চেন্নাইয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামবে তারা। ‘ডি’ গ্রুপে তাদের বাকি ৩ প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কানাডা।
আফগানিস্তানের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল: রশিদ খান (অধিনায়ক), নূর আহমদ, আবদুল্লাহ আহমদজাই, সেদিক উল্লাহ অতল, ফজলহক ফারুকি, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, নাভিন উল হক, মোহাম্মদ ইশাক, শাহিদুল্লাহ কামাল, মোহাম্মদ নবি, গুলবাদিন নাইব, আজমতুল্লাহ ওমরজাই, মুজিব উর রহমান, দারউইশ রাসুলি, ইব্রাহিম জাদরান।
ট্রাভেলিং রিজার্ভ: মোহাম্মদ গজনফার, ইজাজ আহমদজাই, জিয়াউর রহমান শরীফি।