এগারো শ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় ই–কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমানুল্লাহকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বক্কর সিদ্দিক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আজ বিকেলে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ আমানুল্লাহকে গুলশান থানা-পুলিশ আদালতে হাজির করে। আদালত আগামী ২৩ আগস্ট রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে আমানুল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গতকাল বুধবার রাতে গুলশান এলাকা থেকে আমানুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার ই–অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়। ওই দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। আসামিরা হলেন–সোনিয়া মেহজাবিন, মাসুকুর রহমান, আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, কাওসার ও ই–অরেঞ্জের সব মালিক। তবে প্রতিষ্ঠানটির কতজন মালিক রয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি মামলায়।
গত ১৬ আগস্ট রাতে করা মামলায় বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে আবু তাহের ই–অরেঞ্জের বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁরা কোনো পণ্য পাননি। প্রায় এক লাখ ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের পণ্য দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে ই–অরেঞ্জ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়। মামলা করার আরও কয়েকজন ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন।