লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চর লরেঞ্জ ইউনিয়নে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫ হাজার ১০০ জনের জন্য ৫১ টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৭ থেকে ৮ কেজি চাল দেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপকারভোগীরা। এদিকে চাল বণ্টনে স্বজনপ্রীতির অভিযোগও রয়েছে।
চর লরেঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবুল কাশেম, জামাল মিজানুর রহমান, সিরাজ ফখরুল জানান, চেয়ারম্যান তার সহযোগী, মেয়ের জামাই, কাছের লোকজনকে সরকারি চাল বিতরণ করেন। ফলে চাল সংকট দেখা দিলে প্রকৃত উপকারভোগীরা অনেকে না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি যান।
তাঁরা আরও জানান, আজ মঙ্গলবার দুপুরে ৫০-৬০ জন ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদের চালের টোকেন হাতে নিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় চেয়ারম্যান চাল বিতরণ বন্ধ করে চলে যান। ঘোষণা দেন চাল শেষ। পরে স্থানীয়রা উপজেলা প্রশাসনকে জানালে চেয়ারম্যান পাশের মুদি দোকান থেকে ২-৩ বস্তা চাল কিনে ৬ থেকে ৭ কেজি করে কয়েকজনকে বিতরণ করেন। আবার অনেকের চালের টোকেন ছিঁড়ে ফেলেন।
উপকারভোগী বিবি আমেনা, আলেয়া, চান বানু, জোহরা পিয়ারা জানান, তাঁদের চালের টোকেন চেয়ারম্যান নিজে ছিঁড়ে ফেলেন। এদিকে হাজেরা, শাহিনুর ছাড়া অনেকে টোকেন নিয়ে খালি হাতে বাড়ি ফেরেন।
নুরনবী নামের একজন বলেন, ‘চেয়ারম্যানের সহযোগী আবদুর জাহের দুই বস্তা চাল নিয়েছে আর আমরা সারা দিন দাঁড়িয়ে থাকি চাল পেলাম না।’
ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নুরল আমিন বলেন, ‘এমন কথা বলবেন না, সবাইকে চাল দিলাম।’
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও ৩ নম্বর চর লরেঞ্জ ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার (তদারকি কর্মকর্তা) মোহাম্মদ মোহসিন জানান, টোকেন দেখে চাল বিতরণ করা হয়েছে। টোকেন আছে, চাল শেষ এটা হতে পারে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, ‘চাল বিতরণের অনিয়মের অভিযোগ শুনেছি, লোক পাঠিয়ে তদন্ত করে সত্য উদ্ঘাটনের পর ব্যবস্থা নেব।’