লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরমোহনা এলাকায় স্ত্রী সীমা আক্তার সিমু হত্যা মামলায় স্বামী মো. রাশেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর মো. জসিম।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রায়পুর উপজেলার চরমোহনা এলাকার আলী হায়দরের ছেলে। রায়ের ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার রায়পুর উপজেলার চরমোহনা এলাকায় ২০২০ সালের ৩ মে রাতে পারিবারিক বিরোধে স্ত্রী সীমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ খাটের ওপর রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করেন স্বামী রাশেদ। পরদিন সকালে সীমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। ওই দিন রায়পুর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু হয়। এর দুই মাস পর ময়নাতদন্ত শেষে সীমা আক্তারকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রতিবেদন দেয় সদর হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড। পরে ১৬ জুলাই পুলিশের ওই অপমৃত্যুর মামলায় রাশেদকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর রাশেদকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানি শেষে প্রায় দুই বছর পর এই মামলার রায় দেন আদালত।
প্রসিকিউটর মো. জসিম উদ্দিন জানান, স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামী মো. রাশেদ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদী সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।