চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে এক গৃহপরিচারিকার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ভোরে ছনুয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মনুমিয়াজী বাড়ির পাশের পুকুরঘাট থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ওই নারীর কপালে, মুখে, মাথায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত রাফিয়া বেগম (৪৪) ছনুয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হাঁসপাড়া এলাকার আবুল হাশেমের স্ত্রী।
উপজেলার ছনুয়া কাদেরিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক মৃত আরেফুল কাদের চৌধুরীর বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করতেন রাফিয়া বেগম। আরেফুল কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও সন্তানেরা অন্য স্থানে থাকতেন। এ কারণে ছনুয়ায় ওই বাড়িতে একাই থাকতেন রাফিয়া বেগম।
আজ ভোরে আরেফুল কাদেরের বাড়ি সংলগ্ন পুকুরের ঘাটে রাফিয়া বেগমের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ সকাল ১০টার দিকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠায়।
নিহতের বড় ছেলে মামুনর রশিদ বলেন, ‘আমার মা একজন প্রতিবন্ধী। তাঁর এক পা ভাঙা। বিগত ছয় মাস আগে থেকে আমার মা ছনুয়া মনুমিয়াজি বাড়ির মৃত আরেফুল কাদের চৌধুরীর বাড়িতে কাজ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সেখানে আছেন। আজ সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পাই, আমার মায়ের খুন হওয়ার বিষয়টি। কে বা কারা আমার মাকে খুন করেছে তা সঠিক জানি না।’
বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক রাজীব পোদ্দার বলেন, ‘রাফিয়া বেগম নামের এক নারীর লাশ পুকুর ঘাট থেকে উদ্ধার করেছি। তাঁর কপালে, মুখে, মাথায় ছুরিকাঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে।’
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চমেক’র মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।