কক্সবাজারের টেকনাফে আত্মসমর্পণের পরেও ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়েছে অনেক আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি। তাঁরা আত্মসমর্পণ করে প্রায় দুই বছর কারাভোগ করে এলাকায় এসে পুনরায় ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়েছেন। আত্মসমর্পণ করা এমন এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। এ সময় একজন রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের লেজিরপাড়া গ্রামের আত্মস্বীকৃত ইয়াবা কারবারি ইদ্রিসের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৭০ হাজার ইয়াবা, ২০ ভরি ১২ আনা স্বর্ণ ও নগদ ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় তাঁর সহযোগী পুরাতন রোহিঙ্গা মো. কাশেম (৪০) নামের একজনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় ইদ্রিস পালিয়ে যান। তিনি স্থানীয় মকতুল হোসাইনের ছেলে।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হালিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই সব ইয়াবা, স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, ‘ইয়াবার প্রকৃত মালিক ইদ্রিস ১০২ জন আত্মসমর্পণকারী মাদক সিন্ডিকেটের একজন সদস্য। আত্মসমর্পণের পরেও তিনি এই অবৈধ মাদক কারবার পরিচালনা করে আসছেন। ইয়াবা লেনদেনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হলে ইদ্রিস পালিয়ে যান। এ সময় তাঁর সহযোগীকে আটক করা হয়।’
ওসি আরও বলেন, ‘টেকনাফের অনেক আত্মসমর্পণকারী এখনো ইদ্রিসের মতো বিশাল মাদকের চালান অবৈধভাবে নাফ নদী পেরিয়ে মিয়ানমার হতে দেশে আমদানি করছে। গড়ে তুলেছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়। মাদকের বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার ও পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করতে পুলিশের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’