নোয়াখালীর হাতিয়ায় মেরিনা আক্তার (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ সোমবার সকালে আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মেরিনা উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাইজচরা গ্রামের মো. আকবর হোসেনের মেয়ে। তাঁর শ্বশুরবাড়ি ও বাবার বাড়ি পাশাপাশি। স্বামী মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
গৃহবধূর শাশুড়ি জাহানারা বেগম জানান, সকালে মোবাইলে কথা বলার জের ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় তিনি পাশের বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পরে লোকজনের কাছ থেকে সংবাদ পেয়ে দৌড়ে বাড়ি এসে দেখেন পুত্রবধূ উঠানে চিৎ হয়ে পড়ে আছেন। স্বামী-স্ত্রী ঝগড়া করার পর মেরিনা বিষ পান করেছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মেরিনার বাবা আকবর হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মহিউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে বিয়ে হয় পাঁচ বছর আগে। বিয়ের পর থেকে মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সকালে মেয়েকে পিটিয়ে আহত করেছে এমন সংবাদ পেয়ে তাদের বাড়ি গিয়ে জানতে পারেন মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে হাসপাতাল গেলে মেয়ের মৃত্যু সংবাদ পান তিনি।
তিনি আরও জানান, এর আগেও একাধিকবার তাঁদের এসব অপকর্মের ব্যাপারে সামাজিকভাবে বৈঠক হয়। কিন্তু তাঁর জামাতা নির্যাতন বন্ধ করেননি।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. হালিমা আক্তার জানান, প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মেয়েটির বিষ পানের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তাঁর শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এলে মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে।
এ ব্যাপারে হাতিয়া থানা ওসি আমির হোসেন বলেন, ‘গৃহবধূ নিহত হওয়ার বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর শ্বশুর ও শাশুড়িকে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’