লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়ায় আলোচিত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের সাবেক সদস্য আজিজ মেম্বার ও তাঁর ছেলে সবুজ হোসেন, বিল্লাল হোসেন বিপ্লব, ইব্রাহিম, মানিক, ইসমাইল হোসেন এবং আবুল কাশেম মেম্বার। এ সময় দণ্ড প্রাপ্ত ইসমাইল ও আবুল কাশেম মেম্বার উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে একই পরিবারের তিন ভাই রয়েছেন খালাস পাওয়াদের মধ্যে। তারা হচ্ছেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. আবদুল মালেক ও পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন লিটন। এ ছাড়া খালাস পাওয়া অন্যরা হচ্ছেন, সুজন খাঁন, আবু ছায়েদ, হুমায়ুন রশিদ, রাকিব হোসেন, রিপন হোসেন, মিলন হোসেন, ওমর ফারুক ও ইব্রাহিম হোসেন।
জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দণ্ড-বিধি ৩০২ / ১০৯ ধারায় অপরাধী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া করা হয়।
নিহত আনোয়ার হোসেন দত্তপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মৃত আবদুল বাতেনের ছেলে এবং প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীমের ছোট ভাই। তিনি ওই ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ছিলেন। তাঁর ভাই চেয়ারম্যান শামীমও সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার শিকার হন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আনোয়ার হোসেন ২০১১ সালের ৪ জুন দত্তপাড়া বাজারের তাঁর ভাইয়ের নির্বাচনী অফিসে বসে ছিলেন। এ সময় ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা নির্বাচনী অফিসে হামলা করে আনোয়ারের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করেন। পরদিন তাঁর বড়ভাই মো. আশেক ই এলাহী ওরফে বাবুল বাদী হয়ে সদর থানায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০ / ১২ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি সিআইডি তদন্ত করে অভিযুক্ত ১৮ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১০ জানুয়ারি আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৪ জনের সাক্ষী গ্রহণের পর আদালত সাতজনের যাবজ্জীবন ও ১১ জন আসামিকে খালাস দেন।